Covid 19: নয়া ভ্যাকসিন-নির্দেশিকা, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ফেরত দিতে হবে অব্যবহৃত টিকা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের চিঠি পৌঁছল নবান্নে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার টিকা নিতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ১ মে থেকে যখন ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে, তখন আবার বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠল! রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অব্যবহৃত টিকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের চিঠি পৌঁছল নবান্নে। সেইসঙ্গেই তৃতীয় দফায় ভ্যাকসিনের জন্য ২৮ এপ্রিল থেকে Cowin অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশিকাও জারি করা হল।
ভোটবঙ্গে বেলাগাম করোনা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ১ মে থেকে দেশে শুরু হতে চলেছে তৃতীয় দফায় টিকাকরণ কর্মসূচি। এই পর্বে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে আঠেরো বছরের বেশি বয়সীদের। করোনা টিকা পাওয়া যাবে বেসরকারি হাসপাতালেও। সেরাম ইনস্টিটিউটের(SII) তরফে জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নিলে, খরচ হবে ৬০০ টাকা। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে উদ্বেগ বাড়ল চিকিৎসকমহলে। অবিলম্বে এই 'জনবিরোধী নির্দেশ' প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম।
আরও পড়ুন: করোনায় বেসামাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যেও সফল অঙ্গদান কলকাতায়
কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কি নির্দেশিকা জারি করল? ২৩ এপ্রিল নবান্নে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভুষণ। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিলের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে অব্যহৃত টিকা ফেরত দিতে হবে। তাহলে তৃতীয় পর্বে টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে কি করে? এই পর্বের জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে টিকা কিনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল থেকে যাঁরা টিকা নিতে চান না, তাঁদের আরও খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: করোনার চোখরাঙানিকে উড়িয়ে বিয়ে পিপিই কিট পরেই!
এদিন স্বাস্থ্য ভবনে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে যাঁরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন, সময়মতো তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু যাঁরা প্রথমবার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিতে চান, তাঁদের কী হবে? প্রশ্ন উঠছে।