'বাবাকে বলো' রুখতে কাঁথি থানায় শিশিরপুত্র, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা

ভোটের আগে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। সেই ধাঁচেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে 'বাবাকে বলো'।

Updated By: Jul 10, 2021, 11:00 PM IST
'বাবাকে বলো' রুখতে কাঁথি থানায় শিশিরপুত্র, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে 'বাবাকে বলো' শীর্ষক একটি ছবি। সঙ্গে মোবাইল নম্বর। তাতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। এই ঘটনায় কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন শিশিরপুত্র দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, প্রতিদিন ক্রমাগত ফোন আসছে। কটূক্তি করা হচ্ছে তাঁর বাবাকে।  

ভোটের আগে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। ওই কর্মসূচিতে একটি নম্বরে ফোন করে অভাব-অভিযোগ জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তার প্রতিকারও হয়েছে। দিন কয়েক আগে সেই ধাঁচেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে 'বাবাকে বলো'। তবে এক্ষেত্রে শিশিরের (Sisir Adhikari) প্রচার নয়। বরং সাংসদকে নিশানা করাই প্রচারকারীদের অভিপ্রায়। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে এই প্রসঙ্গটি তোলেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। বলেছিলেন,'দলত্যাগ বিরোধী আইনে বাবাকে বলো শুরু করুন বিরোধী দলনেতা।' এরপর হইহট্টগোল করেন বিজেপি বিধায়করা।                         

অধিকারী বাড়ি সূত্রে খবর, প্রতিদিনই ফোনের ওপার থেকে বর্ষীয়ান সাংসদকে কটূক্তি করা হচ্ছে। উত্যক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার জেরে মানসিক নির্যাতনের শিকার শিশির অধিকারী। কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশিরের (Sisir Adhikari) সেজ ছেলে, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। দোষীদের শাস্তির জন্য রাজ্যের পুলিস মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানানোর কথা বলেছেন তিনি। 

তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রয়োগ নিয়ে যখন শুভেন্দু অধিকারী স্পিকারের কাছে দরবার করছেন তখন তাঁর বাবা কেন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না? আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ না দিলেও কাঁথিতে অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন,'এটা লোকসভা অধ্যক্ষের আওতাধীন।' শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সদস্যপদ বাতিলের জন্য ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করেছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওম বিড়লা জানিয়েছেন, দুই সংসাংসদের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। তা খতিয়ে দেখবে লোকসভার সংশ্লিষ্ট কমিটি। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত অতিরিক্ত ওসি

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
 

   

.