'TMC-র পুরনো নেতারা বসেছিলেন', ভাঙনের পর BJP নেতাদেরই তৃণমূল দাগালেন দিলীপ!
খড়্গপুর থেকে লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষকে লিড পাইয়ে দেওয়ার কারিগর ছিলেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈলেন্দ্র সিং।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে দিলীপ ঘোষ। ঠিক তখনই তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। বুধবার বিজেপির একাধিক নেতা যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। তবে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, টিএমসি-র পুরনো লোক যারা বসেছিল, তাদের জয়েন করানো হচ্ছে।
খড়্গপুর থেকে লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষকে লিড পাইয়ে দেওয়ার কারিগর ছিলেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈলেন্দ্র সিং। সেই শৈলেন্দ্রবাবুই বুধবার তুলে নিলেন ঘাসফুলের পতাকা। এর পাশাপাশি এদিন বিজেপির দাপুটে নেতা প্রেমচন্দ ঝাঁর ঘনিষ্ঠ সজল রায়, খড়্গপুরের পোড় খাওয়া নেতা অজয় চট্টোপাধ্যায় ও রাজদীপ গুহ নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। তৃণমূলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, দিলীপ ঘোষের তাসের ঘর ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়বে।
দলবদলে বিজেপি নেতাদেরই তৃণমূল বলে দাগিয়ে দিয়েছেন দিলীপ। দিল্লিতে তিনি বলেন,''জায়গায় জায়গায় যোগ দেওয়া ৯০% লোকই তৃণমূলের পুরনো নেতা। দু-তিনবার জয়েন করানো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে একটা হাওয়া তোলার চেষ্টা চলছে। এর পিছনে প্রশান্ত কিশোরের মাথা। যে নেতা জয়েন করাতে পারবে না, তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। তাই সবাই পুরনো নেতাদের জয়েন করাচ্ছে।''
আরও একটা তত্ত্বও দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর ব্যাখ্যা, বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। স্বচ্ছ পার্টি। এখানে কামানো যাবে না। তাই অনেকে দল ছাড়ছেন। বিজেপির উপরে মানুষের বিশ্বাস আছে । ১১৫ জনকে হত্যার পরও কেউ বিজেপি ছেড়ে যায়নি। আমাদের কর্মীরা আদর্শনিষ্ঠ।
আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতিতেও ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ স্যাটের