ইকো পার্কে দিলীপ ঘোষ, ফের সরাসরি আক্রমণ রাজ্য সরকারকে
বাংলার অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ‘খুন ধর্ষন থেকে আরম্ভ করে বোমা বিস্ফোরণ। সর্বোচ্চ স্তরে দুর্নীতি, নেতারাও জড়িত। এর থেকে খারাপ অবস্থা হতে পারে না। এবার পরিবর্তন হওয়া দরকার’। তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী জোট তৈরি করার চেষ্টা করুক। তিনি হুঁশিয়ারি দেন ‘এবার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে ফের একবার আক্রমণ শানালেন তিনি। রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ করে বলেন ভাটপাড়ায় গন্ডগোল হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন ‘জুয়া সাট্টা কি করে চলছে। সরকারি ইনকাম বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং এটা পার্টির ইনকামের রাস্তা’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে এই অবস্থা। এছাড়াও তিনি দাবি করেন ‘এখান থেকে ইনকাম করছে পুলিস এবং রাজনৈতিক নেতারা’।
মানিক ভট্টাচার্যের জেল হেফাজত প্রসঙ্গে তিনি বলেন বহু তথ্য বহু ঘটনা আছে যার লিস্ট ধিরে ধিরে বের হবে। যত সময় যাচ্ছে তদন্ত হচ্ছে এবং আরও তথ্য আসছে।
অন্যদিকে সিবিআই চার্জশিটে ১২ জনের নাম থাকলেও ছয় জন ধৃত। তিনি বলেন এক এক করে হচ্ছে। অনেক বড় বড় লোক এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পালিয়ে কেউ বাঁচতে পারবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে বিজেপি সাংসদ বিধায়কের বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন ‘যখন মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে যায় তখন কিছুই হজম হয় না। তৃণমূলের হয়েছে সেই অবস্থা। এত ভয় পেয়েছে যে সব কিছুতেই ভুত দেখছে। সরকার পড়লে এমনিই পড়বে কাউকে ফেলতে হবে। সৌজন্য দেখাসাক্ষাৎ হতেই পারে। ছোঁয়াছুঁয়ির রাজনীতিতে বিজেপি বিশ্বাস করে না যা তৃণমূল নিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গে। এর বিসর্জন হওয়া উচিত।‘
আরও পড়ুন: Murder: কালীপুজোর রাতে ছেলের হাতে বাবা খুন!
দিলীপ ঘোষ আরও জানিয়েছেন মোদী আড়াই বছর ধরে ৮০ কোটি লোককে রেশন খাওয়াচ্ছে। ভারত কে বদনাম করার বহু চক্রান্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলার অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ‘খুন ধর্ষন থেকে আরম্ভ করে বোমা বিস্ফোরণ। সর্বোচ্চ স্তরে দুর্নীতি, নেতারাও জড়িত। এর থেকে খারাপ অবস্থা হতে পারে না। এবার পরিবর্তন হওয়া দরকার’।
তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী জোট তৈরি করার চেষ্টা করুক। তিনি হুঁশিয়ারি দেন ‘এবার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে’।
অন্যদিকে সত্যব্রত দাসের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘ইডি সিবিআই অ্যাক্টিভ তাই পুলিস, সিআইডি কে দিয়ে আমাদের লোকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কেউ অন্যায় করলে শাস্তি পাবে’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে যদি মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন তাহলে তো ভালোই হয়। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী পালিয়ে বেড়ান।