নির্ধারিত দিনে পঞ্চায়েত ভোট হওয়া নিয়ে সংশয়!

পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত ঘিরে উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। নিজের নিজের অবস্থানে অনড় রাজ্য এবং কমিশন। সব জট কাটিয়ে ২৬ ও ৩০ এপ্রিল ভোট কী আদৌও সম্ভব? এখন এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। 

Updated By: Mar 28, 2013, 07:22 PM IST

পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত ঘিরে উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। নিজের নিজের অবস্থানে অনড় রাজ্য এবং কমিশন। সব জট কাটিয়ে ২৬ ও ৩০ এপ্রিল ভোট কী আদৌও সম্ভব? এখন এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। 
২৬ এবং ৩০ এপ্রিল। গত শুক্রবার একতরফা ভাবে দু দফা নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আদৌও কি ২৬ এপ্রিল নির্বাচন করা সম্ভব হবে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। কেন এই সংশয়?
 
পঞ্চায়েত আইনে বলা আছে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর কমপক্ষে আঠাশদিন সময় দিতে হয়। এরমধ্যে সাতদিন মনোনয়ন জমা, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, স্ক্রটিনি এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের জন্য।  
 
বাকি একুশ দিন প্রচার এবং কমিশনের প্রস্তুতির জন্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যালট পেপারে হয়। মোট ৫৯ হাজার বুথ। হিসেব বলছে, ২৬ এপ্রিল ভোট করতে হলে ২৯ মার্চ কমিশকে নোটিফিকেশন জারি করতেই হবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি কী এখনও তৈরি হয়েছে?
অনেকগুলো প্রশ্নে জট এখনও খোলেনি।
জট-নং এক) কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন এখনও অব্যাহত। নির্বাচনের সময়সীমা। কমিশন এখনও মনে করে দু-দিন নয়, ভোট হওয়া উচিত তিনদিনেই।
জট-নং দুই-- জেলার পুনর্বিন্যাস। সরকার যেভাবে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ এই দুভাগে ভাগ করেছে  তাতেও আপত্তি রয়েছে কমিশনের।
ফলে এই সমস্ত জট আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আদৌও কী কাটা সম্ভব হবে?

.