পুলিসি জেরায় সুদীপ্ত জানালেন শাসক দলের আরও কয়েক জনের নাম
সুদীপ্ত সেনকে জেরায় মিলল আরও কয়েকটি নতুন তথ্য। পুলিসি জেরায় উঠে এল শাসক দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর নাম। সূত্রের খবর জেরায় সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, শাসক দলের ওইসব নেতা-মন্ত্রীদের নিয়মিত টাকা দিতে হত তাঁকে। সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ, তাঁদের চাপেই সমস্যায় পড়ে সারদা।
সুদীপ্ত সেনকে জেরায় মিলল আরও কয়েকটি নতুন তথ্য। পুলিসি জেরায় উঠে এল শাসক দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর নাম। সূত্রের খবর জেরায় সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, শাসক দলের ওইসব নেতা-মন্ত্রীদের নিয়মিত টাকা দিতে হত তাঁকে। সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ, তাঁদের চাপেই সমস্যায় পড়ে সারদা।
সিবিআইকে লেখা চিঠিতে ওইসব নেতা-মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ করেননি বলেও জেরায় জানান সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত সেনকে জেরায় মিলল আরও কয়েকটি নতুন তথ্য। পুলিসি জেরায় উঠে এল শাসক দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর নাম। সূত্রের খবর জেরায় সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, শাসক দলের ওইসব নেতা-মন্ত্রীদের নিয়মিত টাকা দিতে হত তাঁকে। সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ, তাঁদের চাপেই সমস্যায় পড়ে সারদা। সিবিআইকে লেখা চিঠিতে ওইসব নেতা-মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ করেননি বলেও জেরায় জানান সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।
সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও সংস্থার ডিরেক্টর দেবযানী মুখার্জিকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের অনুমান, মোটা অঙ্কের টাকা সরিয়ে ফেলেছেন সুদীপ্ত সেন। দুশো দশটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে সাতষট্টিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট হাতে পেয়েছেনগোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের অনুমান, সারদার বিভিন্ন শাখা থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পৌঁছত না। পালানোর সময় সুদীপ্ত সেনের কাছে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ছিল। দেবযানীর সঙ্গে ছিল নগদ এক লক্ষ টাকা। সুদীপ্ত নিজে কোনও এটিএম কার্ড ব্যবহার করতেন না। দেবযানীর সঙ্গে ছিল গোলপার্কের একটি ব্যাঙ্কের দুটি এটিএম কার্ড। সেই দুটি অ্যাকাউন্টে ছিল মোট তিনলক্ষ টাকা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসমেও চিটফান্ড ব্যবসার রাজ্যপাট বিস্তার করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। রবিবার অসম পুলিসের প্রতিনিধিরাও সুদীপ্ত সেনকে জেরা করেন।
গতবছরের শেষ থেকেই সংস্থার আর্থিক মন্দার কথা আঁচ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। যদিও তাতেও ব্যয়সঙ্কোচের পথে হাঁটতে রাজি হননি । পুলিসি জেরায় সারদার অন্য আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহান জানিয়েছেন, গত তিনমাসে বোর্ড অব ডিরেক্টরদের মিটিংয়ে ব্যয়সঙ্কোচ নিয়ে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সুদীপ্ত। তাঁর যুক্তি ছিল ব্যয়সঙ্কোচের রাস্তায় হাঁটলে বাজারে সংস্থা সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। গত দুমাসে সংস্থার জন্য ৪২টি নতুন গাড়ি কেনা হয়েছিল বলেও জেরায় জানান অরবিন্দ।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দুহাজার নয় সাল থেকে জমি কিনতে শুরু করেন সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্তর ছায়াসঙ্গী দেবযানী একসময় সারদার ৪০টিরও বেশি সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন। যদিও শেষের দিকে তিনি মোট দশটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।
শেষপর্যন্ত পালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কেন সুদীপ্ত? জেরায় সুদীপ্ত জানিয়েছেন, চলতি বছরে আমানতকারীদের যে পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল, সেই পরিমাণ অর্থ সংস্থার হাতে ছিল না। একইসঙ্গে সংস্থাকে নতুন করে চাঙ্গা করার মত অর্থও তাঁর হাতে ছিলনা। তাঁর দাবি, কর্মীরাই তাঁকে ডুবিয়েছেন। রবিবার সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিস থেকে একটি হার্ডডিস্ক ও বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।