জমি জটের নাগপাশে অবরুব্ধ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প এখন বিশ বাও জলে। কলকাতা গতিময় হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাসিন্দারা, তাও বোধহয় ফিকে হতে চলেছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের অসহযোগিতাকেই সরাসরি দায়ী করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ রাজ্য সরকারের সহায়তা পেলেই দেশের মধ্যে রাজ্যেই প্রথম নদীর তলায় টানেলের মধ্য দিয়ে ট্রেন যেত। উপকৃত হতেন পাঁচ লক্ষ মানুষ।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প এখন বিশ বাও জলে। কলকাতা গতিময় হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাসিন্দারা, তাও বোধহয় ফিকে হতে চলেছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের অসহযোগিতাকেই সরাসরি দায়ী করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ রাজ্য সরকারের সহায়তা পেলেই দেশের মধ্যে রাজ্যেই প্রথম নদীর তলায় টানেলের মধ্য দিয়ে ট্রেন যেত। উপকৃত হতেন পাঁচ লক্ষ মানুষ।
জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলা প্রত্যাহারের জেরে আপাতত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ স্তব্ধ। পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ইতিমধ্যেই দুশো কোটি টাকার কাজ এগিয়ে গেলেও প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এখানেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রেলপ্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। যে জমি অধিগ্রহণ ইস্যুকে ঘিরে কাজ থমকে গিয়েছে, সেই কাজের জন্য ২৮ কোটি টাকা দিয়েছে সংস্থার নোডাল বডি কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল।
জমি অধিগ্রহণের ঝক্কি এড়াতে রাজ্য সরকারের নতুন দাবি রি এলাইনমেন্ট করা হোক। কিন্তু তাতে প্রকল্পের খরচ আরও বাড়বে। যা বাস্তবে সম্ভব নয় বলেই মনে করেন রেলপ্রতিমন্ত্রী।
রেলপ্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যেভাবে প্রতিদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ পিচ্ছোচ্ছ তাতে দিনপ্রতি প্রকল্পের খরচ বাড়ছে ৪০ লক্ষ টাকা করে। শুধু তাই নয় রাজ্য সরকারের অনমনীয় মনোভাব কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে যোজনা কমিশনও অর্থ মঞ্জুরের ব্যাপারে গড়িমসি করবে। যারফলে আখেরে ক্ষতি হবে রাজ্যের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে উন্নয়নের নিরিখে একাধিক রাজ্য যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ফের পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রকল্প শেষ হলে গোটা দেশের মধ্যে রাজ্যেই প্রথম নদীর তলায় টানেলের মধ্য দিয়ে ট্রেন যেত। প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি যা সেই গৌরব থেকেও ক্রমেই দূরে সরছে রাজ্য।