ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুট আরও বাড়ালে কী লাভ হবে?

টার্গেট, আরও বেশি যাত্রীসুবিধা। একথা মাথায় রেখেই এবার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুট আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। হলদিরামে শেষ না করে, এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে এই লাইন। বদলে কাটছাঁট এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া রুটে। 

Updated By: Feb 4, 2017, 07:48 PM IST
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুট আরও বাড়ালে কী লাভ হবে?

ওয়েব ডেস্ক: টার্গেট, আরও বেশি যাত্রীসুবিধা। একথা মাথায় রেখেই এবার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুট আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। হলদিরামে শেষ না করে, এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে এই লাইন। বদলে কাটছাঁট এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া রুটে। 

শহরের উত্তর-দক্ষিণ। মিশবে ইস্ট ওয়েস্টেই। যাত্রীস্বার্থে এবার রুট বাড়ছে এই মেট্রো প্রকল্পের। ২০১৬-র বাজেটে স্থির হয়, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোকে সেক্টর ফাইভে শেষ না করে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হলদিরাম পর্যন্ত। ঠিক ছিল, এয়ারপোর্ট-নিউগড়িয়া মেট্রোর সঙ্গে হলদিরামেই মিশবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এই রুট। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো থেমে যাবে হলদিরামে। আর এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া মেট্রো হলদিরাম হয়ে সোজা চলে যাবে বিমানবন্দর পর্যন্ত। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকেই এয়ারপোর্ট পর্যন্ত টেনে দিলে লাভ অনেক বেশি।

ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো হাওড়া ময়দান থেকে শুরু করে হাওড়া স্টেশন, বিবাদী বাগ, এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ স্টেশন, সেক্টর ফাইভ হয়ে সরাসরি এয়ারপোর্ট চলে গেলে সুবিধা অনেক বেশি। চন্দননগর থেকে আসা মানুষ যেন এক মেট্রোয় চড়েই পৌছে যাবেন এয়ারপোর্ট, তেমনই বনগাঁ থেকে আসা মানুষও একই সুবিধা পাবেন। এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া রুটকে টেনে নিয়ে গেলে, শুধুমাত্র দক্ষিণ শহরতলি এবং বাইপাস সংলগ্ন মানুষেরই বেশি সুবিধা হবে।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুট সরাসরি এয়ারপোর্ট পৌছলে তুলনামূলক অনেক বেশি লোকের লাভ। ভবিষ্যতে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুট সাঁতরাগাছি পর্যন্ত হলে, সেখানকার মানুষও সরাসরি এই রুটের সুবিধা পাবেন। ইতিমধ্যে RITES-এর মাধ্যমে একটি সমীক্ষাও হয়। তাতে উঠে এসেছে, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুটকে হলদিরামের বদলে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেলে যাত্রীসংখ্যা কম করে ২ লক্ষ বাড়বে।

হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো যাবে মাটির ওপর দিয়ে। সেখান থেকে মাটির তলা দিয়ে তা পৌছে যাবে এয়ারপোর্ট। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর রূপায়ণকারী সংস্থা KMRCL ইতিমধ্যে রুট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে রেল বোর্ডেও। অপেক্ষা এখন, সেখান থেকে অনুমোদনের।

.