আদালতে কমিশন, লড়তে প্রস্তত রাজ্যও
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে আদালত রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা তলব করলে, সরকারের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করতে মহাকরণে শুরু হয়েছে জরুরি বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বৈঠকে রয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় এবং সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বৈঠকের আগে অ্যাডভোকেট জেনারেল ও সরকারের আইনজীবীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী।
লড়তে রাজ্য সরকার প্রস্তত বলে দাবি করলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রতহাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের দাখিল করা পিটিশনের বিরুদ্ধে মুখোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দাবি, আইন এবং জনস্বার্থ-দুদিক থেকেই সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে সরকার।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে আদালত রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা তলব করলে, সরকারের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করতে মহাকরণে সোমবার এক বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বৈঠকে ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় এবং সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বৈঠকের আগে অ্যাডভোকেট জেনারেল ও সরকারের আইনজীবীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের একতরফাভাবে জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজের দাবিতে মামলার আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। তবে সেই আবেদন গ্রহণ না করে, আইনি পদ্ধতি মেনে মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেক্ষেত্রে আরও দীর্ঘমেয়াদী হবে প্রক্রিয়া। এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সোমবার সকালে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের এজলাসে কমিশনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ দ্বিবেদী। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার আবেদন গ্রহণ করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয়নি আবেদন। কমিশনকে আইনি পথে মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে সেক্ষেত্রে আরও দু একদিন দেরি হবে প্রক্রিয়ায়। আজ সাড়ে বারোটার পর থেকে বন্ধ থাকবে আদালত। সেক্ষেত্রে আগামিকাল মামলা রুজু করা সম্ভব হলেও, রাজ্য সরকারকে মামলার নোটিফিকেশন দিতে আরও একদিন নষ্ট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই বুধবারের আগে মামলার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার ছুটির দিনেও দিনভর দফতরে ব্যস্ত ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা। রাতে দফতর ছাড়ার আগে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছিলেন, আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আজ।
একই চিঠি পরপর দুবার পাঠিয়ে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে আলোচনার দরজা তারা খোলা রাখতে চায় না। তবু আশা ছাড়তে রাজি নয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবার সকাল এগারোটা থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। দিনভর আইনজীবীদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করেন তিনি।
প়ঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটছে রাজ্য বিজেপিও। এবিষয়ে আজই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার পূর্ণ ক্ষমতা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হোক। এই মর্মে আজ হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। পাশপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত আইন বাতিলেরও আবেদন করা হয়েছে আদালতে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা একথা জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে যেসব চিঠি বিনিময় হয়েছে, সেগুলির বক্তব্য প্রকাশ্যে আসা উচিত। কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ এমনই দাবি জানিয়েছেন।