সারদা কাণ্ডে এবার তলব অপর্ণা সেনকে
সারদা তদন্তে নয়া মোড়।
ওয়েব ডেস্ক: সারদা তদন্তে নয়া মোড়। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে এবার অপর্ণা সেনকে তলব করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরি (ইডি)। সারদার একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অপর্ণা সেন। সম্ভবত সেই বিষয়ের জন্যই অপর্ণাকে ডেকে পাঠানো হল।
সারদা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়। জেরার জন্য এবার ইডি ডেকে পাঠাল অপর্ণা সেনকে। ইতিমধ্যেই ইডি দফতরে পৌছেছেন অপর্ণা সেন। সারদা গোষ্ঠীর একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে সংস্থার সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সংস্থার নথিপত্রও আনতে বলা হয়েছে অপর্ণা সেনকে। ইতিমধ্যেই সারদা মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কুণাল ঘোষ ও অর্পিতা ঘোষকে। সারদা গোষ্ঠীর যে পত্রিকায় সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অপর্ণা সেন সেখানে তার সঙ্গে সংস্থার কী আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা জানার জন্যেই অপর্ণা সেনকে তলব করেছে ইডি।
এদিকে, সারদাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। আজ দুপুরে ইডির দফতরে যাবেন বস্ত্রমন্ত্রী। অভিযোগ, সারদাগোষ্ঠীকে ২০০৯ সালে বাঁকুড়ার বেলিতোড়ের সিমেন্ট কারখানা চড়া দামে বিক্রি করেন শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। সেই বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বস্ত্রমন্ত্রীকে সমন পাঠায় ইডি।
কারখানা হস্তান্তর হওয়ার আগের সমস্ত ব্যালেন্স শিট ও অডিট রিপোর্ট তাঁকে সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, কারখানা বিক্রির মধ্যস্থতা করে ছিলেন এক রাজনৈতিক দলের নেতা। তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়া হবে শ্যামাপদবাবুর কাছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রথম থেকেই কারখানাটি লোকসানে চলছিল। দেনা শোধ করতেই দু কোটি একাত্তর লক্ষ টাকায় কারখানাটি বিক্রি করেছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের সব রকম সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়।