কাজ করেনি হেল্পলাইন নম্বর, মেট্রোর আগুনে প্রশ্নে যাত্রী নিরাপত্তা

প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষার পর নিজেরাই জানলার কাচ ভেঙে বেরোন যাত্রীরা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পেশায় সাংবাদিক তন্ময় প্রামাণিক জানিয়েছেন, প্রায় ২০ মিনিট ধরে কামরার নীচে আগুন জ্বলছিল। মেট্রোর তরফে কারও দেখা মেলেনি। ট্রেনের ভিতরে কোনও ঘোষণাও শোনা যায়নি। 

Updated By: Dec 27, 2018, 07:14 PM IST
কাজ করেনি হেল্পলাইন নম্বর, মেট্রোর আগুনে প্রশ্নে যাত্রী নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বারবার ফোন করেও মেলেনি সাড়া। প্রতিবারই কেটে দেওয়া হয়েছে ফোন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেট্রোর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে এমনই অভিজ্ঞতার কথা করে জানালেন আর্ত যাত্রীরা। জানালেন, উদ্ধারে কার্যত কোনও সাড়াই পাননি মেট্রোর তরফে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ময়দান স্টেশনের কাছে কবি সুভাষগামী মেট্রোর একটি রেকে একেরবারে শেষের কামরায় আগুন লাগে। প্লাটফর্ম থেকে কিছু দূর এগিয়েই বিকট শব্দ করে থেমে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের নীচ থেকে গলগল করে বেরোতে থাকে ধোঁয়া। প্রাণ বাঁচাতে অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে মেট্রোর হেল্পলাইনে ফোন করতে থাকেন যাত্রীরা। মেট্রোর কামরার ভিতরেই লেখা থাকে এই নম্বর। যাত্রীদের অভিযোগ, মেট্রোর হেল্পলাইনে বার বার ফোন করেও সাড়া মেলেনি। প্রতি বার কেটে দেওয়া হয়েছে ফোন। 

প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষার পর নিজেরাই জানলার কাচ ভেঙে বেরোন যাত্রীরা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পেশায় সাংবাদিক তন্ময় প্রামাণিক জানিয়েছেন, প্রায় ২০ মিনিট ধরে কামরার নীচে আগুন জ্বলছিল। মেট্রোর তরফে কারও দেখা মেলেনি। ট্রেনের ভিতরে কোনও ঘোষণাও শোনা যায়নি। 

যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনা ঘটেছে বিকেল ৫টায়। মেট্রোর কন্ট্রোল রুমে খবর পৌঁছয় বিকেল ৫.০২ মিনিটে। কিছুক্ষণের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় থার্ড লাইনের বিদ্যুত্সংযোগ। এর পর জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন মেট্রোর কর্মীরা। প্রায় ২০ মিনিট পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

মেট্রোর এই দাবি মানতে নারাজ মেট্রোর ওই কামরার যাত্রী তন্ময় প্রামাণিক। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর আমরা জানলার কাচ ভাঙতে পারি। সেখান থেকেই একে একে বেরোতে থাকেন যাত্রীরা। জানলার কাচ ভাঙতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। 

সুড়ঙ্গের মধ্যেই মেট্রো রেকে আগুন, ধোঁয়ায় অসুস্থ বহু যাত্রী

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় কাচের আঘাতে ও ধোঁয়ায় ৩৭ জন অসুস্থ হয়ে SSKM হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। জ্বলন্ত মেট্রো থেকে বেরোতে পারলেও অনেক যাত্রীই কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিহ্বলতা। প্লাটফর্মে বসে উদ্ধারকারীদের বার বার জিজ্ঞাসা করছেন, 'আমি কি এখনো বেঁচে আছি?'  

 

.