ভোট চলাকালীন কেন টার্গেট গৌতম, সুজন?

ভোটের মধ্যেই থানায় হাজিরা দেওয়ার ডাক পড়েছে গৌতম দেব, সুজন চক্রবর্তীর। হঠাত কেন এই তলব? পুলিসের পাঠানো নোটিস অনুযায়ী এক বছর আগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ডাকা হয়েছে সিপিআইএমের দুই শীর্ষ নেতাকে।

Updated By: May 1, 2014, 11:23 PM IST

ভোটের মধ্যেই থানায় হাজিরা দেওয়ার ডাক পড়েছে গৌতম দেব, সুজন চক্রবর্তীর। হঠাত কেন এই তলব? পুলিসের পাঠানো নোটিস অনুযায়ী এক বছর আগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ডাকা হয়েছে সিপিআইএমের দুই শীর্ষ নেতাকে।

২৯ এপ্রিল

সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রি এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গৌতম দেব। সেই রাতেই পুলিস গিয়ে তাঁকে সমন ধরালো। বলা হল, পরের দিন গৌতম দেবকে হাজিরা দিতে হবে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়।

৩০ এপ্রিল

এ বার টার্গেট সুজন চক্রবর্তী। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির বাইরের দেওয়ালে নোটিস ঝুলিয়ে দিল ততপর পুলিস। ভোট প্রচারের বড় দায়িত্বে থাকা দুই সিপিআইএম নেতাকে প্রায় একই সঙ্গে হঠাত কেন ডেকে পাঠানো হল?

কেস নম্বর ১০২

গত বছরের ৬ মে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন মল্লিকা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। সারদায় ছ-লক্ষ চোদ্দো হাজার টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছেন বলে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে সিট জানিয়েছে, এটিই সারদার মূল মামলা। এই মামলার তদন্তেই সমন পাঠানো হয়েছে গৌতম দেব, সুজন চক্রবর্তীকে।

এটিই যদি মূল মামলা হয় তাহলে সমন পাঠাতে কেন এক বছর দেরি করলো সিট?

এক বছর পর ভোটের সময়টাকেই কেন সঠিক সময় বলে মনে হল সিটের?

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গৌতম দেব মুখ খোলার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই টনক নড়লো সিটের?

দুই চব্বিশ পরগনায় ভোট এখনও বাকি। দুই জেলায় সিপিআইএম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন গৌতম দেব ও সুজন চক্রবর্তী। সুজন চক্রবর্তী যাদবপুরে দলের প্রার্থীও। আর, সারদা-কাণ্ডে সিপিআইএম নেতাদের মধ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব তাঁরা। এই কারণেই কি ভোট চলাকালীন টার্গেট গৌতম দেব-সুজন চক্রবর্তী?

.