BGBS: অমিত মিত্রকে চিঠি, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি, ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
২০২২-এর ২০-২১ এপ্রিল, দুদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS) নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্রকে চিঠি দিয়ে বিজিবিএস নিয়ে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে তিনি বিভ্রান্ত করছেন। এই অভিযোগ করে বিগত বিজিবিএস-এর বিনিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতার জন্য শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান রাজ্যপাল। টুইটে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে বলেছেন ধনখড়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে সরব হলেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, কোভিডের জন্য ২ বছর, ২০২০ ও ২০২১, বন্ধ ছিল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তবে এবার আবার বিজিবিএস-এর আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ২০২২-এর ২০-২১ এপ্রিল, দুদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারেই অনুষ্ঠিত হবে বিজিবিএস। ইতিমধ্য়েই বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়ে গিয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিবারের মত এবার ২০২২-এও বাণিজ্য সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিতে চলেছেন।
WHITE PAPER #BGBS
Sought response @DrAmitMitra as his misplaced eloquent economic optical illusions have been a heavy drain on development,transparency and accountability in the state.
Time @MamataOfficial to come out earliest with full disclosure #BGBS by way of a White Paper. pic.twitter.com/xth7qmh2Um
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 20, 2021
এদিকে রাজ্য় সরকারের তরফে বিজিবিএস-এর আয়োজনের কথা ঘোষণা হতেই জোড়া টুইট করেন রাজ্যপাল। যেখানে বিগত পাঁচ বছরের সম্মেলনে আসা বিনিয়োগের খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ফের আবার সেই দাবিতেই সরব রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন, Tathagata Roy: 'আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!' তথাগতর টুইটে দল ছাড়ার জল্পনা
অন্যদিকে, এদিন রাজ্যপালের চিঠি দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্যপালের এই দাবি করা স্বাভাবিক। কয়েক বছর ধরে সরকার এই ধরনের গ্লোবাল সামিট করছে। কত খরচ হচ্ছে, কী বিনিয়োগ হচ্ছে, রাজ্যের মানুষের টাকায় হলে হিসাব লাগবে।"