২৪ ঘণ্টার খবরের জের, এসএসকেএম-এর `প্রহসন` পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। এসএসকেএম হাসপাতালে এমবিবিএসের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় গার্ড দিচ্ছিলেন টিএমসিপি-র দুই নেতা। এক্সক্লুসিভ সেই ছবি চব্বিশ ঘণ্টায় দেখানোর পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ওই দুটি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। শাস্তির মুখে পড়তে পারেন পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। এসএসকেএম হাসপাতালে এমবিবিএসের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় গার্ড দিচ্ছিলেন টিএমসিপি-র দুই নেতা। এক্সক্লুসিভ সেই ছবি চব্বিশ ঘণ্টায় দেখানোর পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ওই দুটি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। শাস্তির মুখে পড়তে পারেন পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
এসএসকেএম হাসপাতালে এমবিবিএসের সাপ্লিমেন্টরি পরীক্ষার হলে গার্ড দিচ্ছেন কলেজের টিএমসিপি নেতা সৌমাভ চ্যাটার্জি এবং শুভজিত দত্ত। ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে তোলপাড় রাজ্যের চিকিত্সক মহল। ৫ এবং ৬ মে-র এসএসকেএমে পরীক্ষার নামে প্রহসনের ছবি ধরা পড়ে গোপন ক্যামেরায়। ৫-তারিখ ছিল সার্জারির প্রথম পত্রের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা। সার্জারি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল ৬ তারিখ। দুটি পরীক্ষাই নতুন করে নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। ২৪ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটি। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে, এসএসকেএমে যেসব পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছিল তাঁদের নতুন করে দুটি পত্রের পরীক্ষায় বসতে হবে।
সেন্টার ইনচার্জ, ইনভিজিলেটর, স্বাস্থ্য কর্মী। পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা যারা যুক্ত ছিলেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে তাদের আর কোনও রকম পরীক্ষার দায়িত্ব নাও দেওয়া হতে পারে।
এসএসকেএম কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রদীপ মিত্রের ভূমিকা। দশই মে এক তরুণী উপাচার্যের অফিসের ল্যান্ড লাইনে ফোন করেন। পরীক্ষা হলের মধ্যে চলছে দেদার টোকাটুকি। দর্শকের ভূমিকায় ইনভিজিলেটর। বহিরাগতরা হলে ঢুকে গার্ড দিচ্ছেন। ফোনে উপাচার্যকে অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। এরপরই এসএসকেএমের অধ্যক্ষ প্রদীপ মিত্রকে এসএমএস করে বিষয়টি জানান উপাচার্য। অধ্যক্ষ সেসময় দিল্লিতে ছিলেন। বিষয়টি ওখানেই ধামা চাপা পড়ে যায়। উপাচার্যের কাছ থেকে গুরুতর এই অভিযোগ পাওয়ার পরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেননি এসএসকেএম অধ্যক্ষ। তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রদীপ মিত্র।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ঘটনার আলাদা তদন্ত করছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।