স্বাস্থ্যে আমরা ওরা: বাম বিধায়ককে ফেরাল এসএসকেএম
বিধানসভায় শাসকদলের বিধায়কদের হামলায় আহত সিপিআইএম বিধায়কের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। ওই দিন হামলার জেরে মাথা ফাটে সিপিআইএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির। তাঁকে ভর্তি না করেই সাধারণ চিকিত্সা করে ছেড়ে দেয় এসএসকেএম হাসপাতাল। পরে বেসরকারি নার্সিংহোমের সিটি স্ক্যানে তাঁর স্কাল-বোনে চিড় ধরা পড়ে। কেন স্ক্যান না করিয়েই গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জিকে ছেড়ে দেওয়া হল এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সূর্যাকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার গুরুত্বকে খাটো করতে চিকিত্সকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার।
বিধানসভায় শাসকদলের বিধায়কদের হামলায় আহত সিপিআইএম বিধায়কের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
ওই দিন হামলার জেরে মাথা ফাটে সিপিআইএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির। তাঁকে ভর্তি না করেই সাধারণ চিকিত্সা করে ছেড়ে দেয় এসএসকেএম হাসপাতাল। পরে বেসরকারি নার্সিংহোমের সিটি স্ক্যানে তাঁর স্কাল-বোনে চিড় ধরা পড়ে। কেন স্ক্যান না করিয়েই গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জিকে ছেড়ে দেওয়া হল এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সূর্যাকান্ত মিশ্র।
তাঁর অভিযোগ, ঘটনার গুরুত্বকে খাটো করতে চিকিত্সকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার।
বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের দুই বিধায়কের হাতে নিগৃহীত হন বাম বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রম। বামেদের অভিযোগ, প্রথমে দেবলীনা হেমব্রমকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন শাসকদলের বিধায়কেরা। এরপর তাঁকে মাটিতে ফেলে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। মারধরে আহত হন তিনি। বামেদের অভিযোগ, শাসকদলের বিধায়কদের মারধরে সিপিআইএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির মাথা ফেটে যায়। দু`জনকেই আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। কিন্তু প্রাথমিক চিকিত্সা করা হলেও তাঁদের ভর্তি করা হয়নি। অথচ একই ঘটনায় আহত তৃণমূল বিধায়ক মেহবুবা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমে। সুপারের যুক্তি, দুই বাম বিধায়ককে ভর্তির প্রয়োজন মনে করেননি চিকিৎসকরা।
সরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ দুই বিধায়ককে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। সেখানেই সিটি স্ক্যানে গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির মাথার হাড়ে চিড় ধরা পরে।
দুই বাম বিধায়ক রীতিমতো অসুস্থ বোধ করছেন বলে জানানো সত্ত্বেও কেন এসএসকেএমের চিকিত্সকরা তাঁদের ভর্তির প্রয়োজন বোধ করলেন না? কেনই বা একই ঘটনায় আহত মেহবুবা বেগমকে ভর্তি করে নেওয়া হল? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী অসুস্থতার চেয়েও বড় হয়ে উঠল রাজনীতির রঙ!