শিশুমৃত্যুতে দায়ী গাফিলতি, প্রকারান্তরে মানল রাজ্য

মালদহ মেডিক্যাল কলেজে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিত্সককে বদলির সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। সরানো হতে পারে হাসপাতালটির প্যাথলজি বিভাগের প্রধান সুবোধ ভট্টাচার্যকেও।

Updated By: Jan 21, 2012, 06:20 PM IST

মালদহ মেডিক্যাল কলেজে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিত্সককে বদলির সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। সরানো হতে পারে হাসপাতালটির প্যাথলজি বিভাগের প্রধান সুবোধ ভট্টাচার্যকেও। কিছুদিন ধরে হাসপাতাল সুপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য দফতরের এই পদক্ষেপের পর প্রশ্ন উঠছে, শিশুমৃত্যুতে কারও কোনও দায় না-থাকলে কেন বদলির সিদ্ধন্ত? শিশুমৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের ডাকা আজকের বৈঠকে হাসপাতালের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিকাঠামোর অভাবেই একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যসচিবকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। ওদিকে আজ দক্ষিণ কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

গতবছর মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই পরিকাঠামোজনিত সমস্যায় ভুগতে শুরু করে মালদা জেলা হাসপাতাল। সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দফতরকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মালদা মেডিক্যাল কলেজে পরপর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় দেরিতে হলেও টনক নড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। হাসপাতালের শিশু বিভাগের দুই চিকিত্সককে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। মঙ্গলবার বদলির অর্ডার ইস্যু করা হবে। হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক ডাকা হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যসচিব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিত্সক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ সহ সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হয়। উল্লেখ করা হয় হাসপাতালে স্থানাভাবের কথাও।
শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী লঘু করে দেখাতে চাইলেও বাস্তব পরিস্থিতি যে অন্যরকম, দুই চিকিত্সকের বদলির সিদ্ধান্ত ও স্বাস্থ্য দফতরের ডাকা জরুরি বৈঠকেই তা স্পষ্ট। এদিনের, আলোচনায় ঠিক হয়েছে, হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৭০টি শয্যা বাড়ানো হবে। বাড়ানো হবে চিকিত্সকের সংখ্যাও। বসানো হবে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা সরঞ্জাম। এদিকে, আজ দক্ষিণ কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে রোগীদের অভিযোগের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অর্থোপেডিক বিভাগে বেলা বারোটাতেও নেই চিকিত্সক। হাসপাতালের জন-ঔষধিতে মেলে না ওষুধ। এরকম একগুচ্ছ অভিযোগ শুনতে হয় তাঁকে। রোগীদের সামনেই হাসপাতাল সুপারের কাছে বিষয়টি জানতে চান তিনি। এমআর বাঙ্গুরে রোগীদের পথ্য নিয়েও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।

.