ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক রাজভবনে

পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, এডিজি(আইবি) জি এন পি রেড্ডি এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) বাণীব্রত বসু। গতকালই নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কমিশনকে কিছুই জানায়নি রাজ্য সরকার। তারপরই হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যপাল।

Updated By: May 28, 2013, 01:10 PM IST

পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, এডিজি(আইবি) জি এন পি রেড্ডি এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) বাণীব্রত বসু। গতকালই নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কমিশনকে কিছুই জানায়নি রাজ্য সরকার। তারপরই হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যপাল।
প্রথম দফায় ৩৬ হাজার বুথে নির্বাচন হবে। তার মধ্যে ১৬ হাজারের বেশি অতি স্পর্শকাতর। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি স্পর্শকাতর বুথে দু`জন করে সশস্ত্র পুলিস রাখতে হবে। সেই হিসেবে মোট এক লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার পুলিস প্রয়োজন। কিন্তু হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের হাতে ৪০ হাজার পুলিস কম রয়েছে। এই সংখ্যক পুলিসই বাইরে থেকে আনার কথা বলেছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার ব্যবস্থা করতে পারেনি সরকার। ছত্তিসগড়ে মাওবাদী হামলার পর সেখান থেকে সশস্ত্র পুলিস আনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে এই বিরাট সংখ্যক সশস্ত্র পুলিস কোথা থেকে জোগাড় করবে রাজ্য সরকার? তবে এব্যাপারে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে কমিশন এবং রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপকে তাই অযাচিত বলে মনে করছে সরকার। তবে রাজভবনের বক্তব্য, রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, তাই কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে তা তিনি জানতেই পারেন।

.