হকার সমস্যার সমাধান তিমিরেই, আতান্তরে মহানগরবাসী
কলকাতাকে লন্ডন করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হকার সমস্যার সমাধান না করে আদৌ কি কলকাতাকে লন্ডন বানানো সম্ভব হবে? বাস্তব বলছে, হকার সমস্যার সমাধান এখনও পর্যন্ত থমকে আছে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারেই।
কলকাতাকে লন্ডন করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হকার সমস্যার সমাধান না করে আদৌ কি কলকাতাকে লন্ডন বানানো সম্ভব হবে? বাস্তব বলছে, হকার সমস্যার সমাধান এখনও পর্যন্ত থমকে আছে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারেই। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরসভা প্রায় দুবছরে পা দিতে চললেও কোনও উদ্যোগই গ্রহণ
করেনি। ফলে রাস্তা ক্রমশ দখল হয়ে যাচ্ছে হকারে।
উচ্ছেদ নয়, হকারদের নিয়ন্ত্রণের কথা বলে সম্প্রতি বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
কি সেই নির্দেশিকা?
প্রত্যেক হকারের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। চল্লিশ শতাংশ হকার প্রতিনিধি রেখে পুরসভাকে টাউন ভেন্ডিং কমিটি তৈরি করতে হবে। শহরের মাস্টার প্ল্যানে দুই শতাংশ জমি হকারদের জন্য রাখতে হবে। এ বছরের জুন মাসের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে এই কাজ।
কলকাতায় বর্তমানে হকার সংখ্যা দুলক্ষ পঁচাত্তর হাজার। তৃণমূলের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী ইস্তেহারেই থাকে হকার সমস্যার সমাধানের একাধিক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু প্রায় দুবছরে পা দেওয়া তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরবোর্ড আদৌ কি শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নিয়েছে?
শাসক শিবিরেরই একাংশের অভিযোগ, আসলে সবটাই এখনও পর্যন্ত হয়ে রয়েছে প্রতিশ্রুতি আর খাতায় কলমে।
এই অভিযোগের জবাবে অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হকারদের সমস্যার সমাধানে পুরসভা কি ভূমিকা নিয়েছে সেই প্রশ্নে রীতিমতো বিব্রত তিনি।