আগামী সপ্তাহ থেকে চালু মেট্রো, এই নিয়মগুলো মানলেই উঠতে পারবেন ট্রেনে
যেভাবেই হোক সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়িয়ে পরিষেবা চালু রাখতে চায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো পরিষেবা চালু হলেই রোজ কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হবে স্টেশন, ট্রেনে। সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে। তবে এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ নিয়ম জারি করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কর্মী ও যাত্রী, সবাইকেই স্টেশনে ঢুকে এসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায় তাই কঠোর নজর রাখবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যেভাবেই হোক সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়িয়ে পরিষেবা চালু রাখতে চায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। দেখে নিন মেট্রোর নতুন নিয়মাবলী-
স্টেশনে যে সব নিয়ম মানতে হবে-
প্রতিটি স্টেশন কীটনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ করে রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। যে সব স্থানে যাত্রীদের অবস্থান থাকে সেসব জায়গা ঘন ঘন স্যানিটাইজ করাতে হবে।
ওয়াশরুম, এসক্যালেটর, বুকিং কাউন্টার, দেওয়ালসহ যে সব জায়গায় বেশি হাত পড়ে, সেগুলি ঘন ঘন স্যানিটাইজ করতে হবে।
লিফট, এসক্যালেটর, সিঁড়ি বারবর স্যানিটাইজ করতে হবে।
বুকিং কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, এএফসি গেটে দাঁড়ানোর সময় যাত্রীদের মধ্যে ছফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
কোভিড সুরক্ষায় স্টেশনে সচেতনতামূলক বার্তা বারবার ঘোষণা করতে হবে।
কী করা যাবে আর কী যাবে না, তার ছোট ভিডিয়ো ক্লিপ স্টেশনের ডিসপ্লে-তে দেখাতে হবে।
বেশি ভিড় হলে একাধিক এনট্রি ও এক্সিট গেট প্রস্তুত রাখতে হবে।
স্টেশন চত্বরে কোথাও যাতে ভিড় না হয় তার জন্য যৌথভাবে নজরদারি চালাতে হবে আরপিএফ ও কলকাতা পুলিসকে।
কর্মীদের জন্য নিয়ম-
বিরতিতে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। ঘন ঘন স্যানিটাইজ করতে হবে।
ফেস মাস্ক ও গ্লাভস বাধ্যতামূলক। খালি হাতে কোনওভাবেই নাক, মুখ ছোঁয়া যাবে না।
হাউজ কিপিং স্টাফদের শীঘ্রই টুপি ও অ্যাপ্রন দেওয়া হবে।
বুকি কাউন্টারে সব সময় ছফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
প্রত্যেক কর্মীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকতে হবে।
যাত্রীদের যা যা মানতে হবে-
অ্যাপ থেকে ই-পাস নিতে হবে। ই-পাসের বৈধতা থাকবে এক ঘণ্টা।
ই-পাসের ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টা আগে অ্যাডভান্স বুকিংয়ের সুবিধা থাকবে।
মেট্রো রেলের কর্মীদের স্টেশন প্রবেশের ক্ষেত্রে ই-পাস লাগবে না। শুধুমাত্র যাত্রীদের ই-পাস লাগবে।
মেট্রো রেলে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করা কর্মীদের স্টেশনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
কোনও টোকেন গ্রাহ্য হবে না। স্মার্ট কার্ড ও ই-পাস ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বুকিং কাউন্টারে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ হবে।
যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকতে হবে।
থার্মাল চেকিং হবে স্টেশনে ঢোকার মুখে।
জ্বর, গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা থাকলে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
সর্বাধিক তিনজন যাত্রী একই সময়ে লিফট ব্যবহার করতে পারবেন।
স্টেশন চত্বরে থুতু বা পানের পিক ফেললে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
ট্রেনে যে সব নিয়ম পালন করা হবে-
x লেখা সিটগুলিতে যাত্রীরা বসতে পারবেন না।
কনটেনমেন্ট জোনে স্টেশন বন্ধ থাকবে।
সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে ট্রেন। শেষ ট্রেন নির্ধারিত স্টেশন থেকে সন্ধ্যে সাতটায় রওনা দেবে।
সব ট্রেন সব স্টেশনে দাঁড়াবে।
আগে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াত ২০ সেকেন্ড। এবার থেকে দাঁড়াবে ৩০ সেকেন্ড।
প্রতিটি রেক স্যানিটাউজ হয়ে লাইনে ছুটবে।