কীভাবে জাল ছড়িয়েছিলেন অনিন্দ্য?

৪১ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে তোলাবাজির জাল ছড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পাড়ার রিকশাচালক থেকে ছাতু বিক্রেতা কিংবা সেলুন মালিক, তাঁর শিকারি নজর এড়াতে পারেননি কেউই। গোটা ওয়ার্ডজুড়ে মর্জি মাফিক নিয়ম চালু করেছিলেন জেলবন্দি এই কাউন্সিলর। পুরনিগমের সম্পত্তিও ভাড়া দিতেন নিজের ইচ্ছেয়। বাড়ি করতে গেলে টাকা দিতে হবে। সাফ ফরমান অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু, এখানেই থেমে ছিলেন না কীর্তিমান কাউন্সিলর।

Updated By: Jul 13, 2016, 08:14 PM IST
কীভাবে জাল ছড়িয়েছিলেন অনিন্দ্য?

ওয়েব ডেস্ক : ৪১ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে তোলাবাজির জাল ছড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পাড়ার রিকশাচালক থেকে ছাতু বিক্রেতা কিংবা সেলুন মালিক, তাঁর শিকারি নজর এড়াতে পারেননি কেউই। গোটা ওয়ার্ডজুড়ে মর্জি মাফিক নিয়ম চালু করেছিলেন জেলবন্দি এই কাউন্সিলর। পুরনিগমের সম্পত্তিও ভাড়া দিতেন নিজের ইচ্ছেয়। বাড়ি করতে গেলে টাকা দিতে হবে। সাফ ফরমান অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু, এখানেই থেমে ছিলেন না কীর্তিমান কাউন্সিলর।

বিধাননগরের ABAC ব্লকে ২৬ বছর ধরে সেলুন চালান শান্তিচন্দ্র রায়। গতবছর অগস্টে মার্কেটের মধ্যেই নতুন দোকান কেনেন। ফার্নিচারের কাজ শুরু হতেই হাজির কাউন্সিলরের দলবল। দাবি দিতে হবে ২ লাখ টাকা।

নেক্সট টার্গেট রিকশাচালকরা। প্রতিমাসে ১০০ টাকা নজরানা না দিলে রিকশা চালিয়ে খাওয়া যাবে না। হিসেব বুঝিয়ে দেন অনিন্দ্য। কাউন্সিলরের শিকারি নজর থেকে রেহাই পান নি  ইস্ত্রিওয়ালা- ছাতুবিক্রেতাও। পেট চালাতে কাউকে মাসে ৫০, কাউকে ১০০ টাকা করে দিতে হত কীর্তিমান কাউন্সিলরকে।

আরও পড়ুন-সাংবাদিক থেকে তৃণমূল কাউন্সিলর, তারপর দাদাগিরি, একনজরে অনিন্দ্যনামা

পকেট ভরাতে শুধু তোলার ওপর ভরসা রাখেননি অনিন্দ্য। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে কার্যত নিজের নিয়ম চালু করেছিলেন। পুরনিগমের সম্পত্তি নিজের মেজাজ মর্জিতে ভাড়া খাটাতেন অনিন্দ্য।

৪১ নং ওয়ার্ড জুড়ে এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনিন্দ্যর তোলাবাজির অসংখ্য প্রমাণ। কাউন্সিলর জেলবন্দি হওয়ায় স্বস্তির শ্বাস নিচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

.