সল্টলেক ডাকাতির কিনারা করল পুলিস
মাত্র ৫দিনেই সল্টলেকে ডাকাতির কিনারা করল পুলিস। পাশের বাড়িতে বসেই কষা হয়েছিল ডাকাতির ছক। মুল চক্রী ওই বাড়িরই ১৫ বছরের বিশ্বস্ত রাঁধুনি। তাকে জেরা করে ওই বাড়ির পরিচারক সহ আরও ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। খোঁজ চলছে আরও একজনের।
ওয়েব ডেস্ক: মাত্র ৫দিনেই সল্টলেকে ডাকাতির কিনারা করল পুলিস। পাশের বাড়িতে বসেই কষা হয়েছিল ডাকাতির ছক। মুল চক্রী ওই বাড়িরই ১৫ বছরের বিশ্বস্ত রাঁধুনি। তাকে জেরা করে ওই বাড়ির পরিচারক সহ আরও ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। খোঁজ চলছে আরও একজনের।
গত শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় ডাকাতি হয় সি ই ব্লকের স্বর্ণভিলায়। বাড়ির মহিলাদের গান পয়েন্টে রেখে অবাধে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পিছনে যে অত্যন্ত পরিচিত কেউ রয়েছে শুরুতেই সেটা অনুমান করেছিল পুলিস। পাশের বাড়ির রাঁধুনি সীতারাম দাসকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। বেরিয়ে পড়ে আসল ঘটনা।
গত ১৫ বছর ধরে পাশের বাড়িতেই রাঁধুনি ছিল সীতারাম। এই বাড়ির সঙ্গে ভাল সম্পর্কও ছিল। যাতায়াতও ছিল ওই বাড়িতে। স্বর্ণভিলায় সিসিটিভি না থাকার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। পাচিল টপকে ভেতরে ঢোকে তারা। গোটা অপারেশনই চলে সীতারামের নির্দেশে। ওই ব্যক্তি যে পরিচিত, মুখ ঢাকা থাকলেও চোখ দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাড়ির মেয়েদের।
সীতারাম দোষ কবুল করলে তার কাছ থেকেই বাকিদের খোঁজ পায় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় ওই বাড়িরই পরিচারক রাজেশ যাদব ওরফে ছোটু, পাপ্পু যাদব এবং মনোজ কুমার দাসকে। এদেরকে কেষ্টপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাগুইআটি থেকে ঝড়খালির বাসিন্দা রাজা হালদার এবং কুলতলির বাসিন্দা তপন পুরকাইতও ধরা পড়ে পুলিসের জালে। উদ্ধার হয় কিছু গয়না, খেলনা পিস্তল ও কয়েকটি মোবাইল। সীতারাম ও রাজেশ ছাড়া বাকিরাও সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে পরিচারক অথবা ক্যান্টিন বয়ের কাজ করত। ঘটনার পরেও এলাকা ছেড়ে যায়নি সীতারাম।
ঘটনার দিন পাঁচেক আগে ওই বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। এদিকে বুধবার ধৃত রাজেশ ও সীতারামের টিআই প্যারেডের আবেদন মঞ্জুর করেছে বিধাননগর মহকুমা আদালত।