প্রশ্নপত্র কোথা থেকে বেরচ্ছে, তা এবার উচ্চমাধ্যমিক সংসদকে জানাতে হবে সংবাদমাধ্যমকেই
পরীক্ষা হলে একটিও মোবাইল নেই নিশ্চিত হলে, তারপরই প্রশ্নপত্র বণ্টন করা হবে বলে জানিয়েছে সংসদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কড়া সংসদ। কিন্তু সংসদ জানিয়েছে, কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে, তা কোথা থেকে বেরচ্ছে, সেই 'সোর্স' সম্পর্কে সংবাদমাধ্যকেই উচ্চমাধ্যমিক সংসদকে জানাতে হবে। তারপর সংসদ প্রতিক্রিয়া দেবে। আর সংসদের এহেন সিদ্ধান্তেই উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, ফাঁস রুখতে সংসদ যদি তৎপরই হবে, তাহলে সংবাদমাধ্যমের উপর নির্ভরতা কেন? সংসদের নিজস্ব ক্ষমতা কোথায় গেল? সংসদের এহেন সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। তাই মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিক চলাকালীনও ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পথে সংসদ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার জন্য সংসদ রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২৫০ স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ডিটেক্টর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে মেটার ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরীক্ষা হলে একটিও মোবাইল নেই নিশ্চিত হলে, তারপরই প্রশ্নপত্র বণ্টন করা হবে বলে জানিয়েছে সংসদ।
আরও পড়ুন, ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে নিজেদের জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির প্রক্রিয়া
প্রসঙ্গত, এবার প্রতি পরীক্ষা হলে একজন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। তাঁর কাজ-ই হবে, হলে কারও কাছে কোনও মোবাইল আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা। তিনি 'ওকে' বলা না পর্যন্ত প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে না বলে সংসদ জানিয়েছে। মালদা, বীরভূম, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংসদ জানিয়েছে, পরীক্ষা হলে যদি কেউ মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে, তবে অবিলম্বে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, কোনও স্কুল ও পর্যবেক্ষকের গাফিলতি যদি ধরা পড়ে, তবে সেক্ষেত্রে তাদের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হবে।