Gariahat Money Seized: শহরে ফের টাকার পাহাড়, গড়িয়াহাটে গাড়ি থেকে উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল নোট
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান ওই টাকা হাওয়ালার টাকা। সেই টাকাই গাড়িতে পাচার করা হচ্ছিল। কোথা থেকে আসছিল ওই টাকা, কোথায় যাচ্ছিল তা ধৃত ৩ জনকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিস
পিয়ালি মিত্র: গতকালই বালিগঞ্জের গড়চার একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই গড়িয়াহাট থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিস। এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে ওই টাকার পরিমাণ ১ কোটিরও বেশি। তবে টাকা গোনার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-মনোজ-অভিষেকের দাপটের পর পেসারদের জোড়া ধাক্কায় ব্যাকফুটে মধ্যপ্রদেশ
গড়িয়াহাট থানা এলাকায় একটি শপিং মলের সামনের রাস্তায় একটি হন্ডা সিটি গাড়িকে আটক করে পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ওই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিস। গাড়িটি যাচ্ছিল পার্কসার্কাসের দিক থেকে গড়িয়াহাটের দিকে। গাড়িতে ছিলেন চালক সহ মোট ২ জন। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই একটি ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে বান্ডিল বান্ডিল টাকা। ওই টাকার উত্স সম্পর্কে গাড়িতে থাকা ২ জন কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরই তাদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে ওই টাকার পরিমাণ ১ কোটির বেশি হবে।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান ওই টাকা হাওয়ালার টাকা। সেই টাকাই গাড়িতে পাচার করা হচ্ছিল। কোথা থেকে আসছিল ওই টাকা, কোথায় যাচ্ছিল তা ধৃত ২ জনকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিস। সপ্তাহ দুয়েক আগেই বড়বাজার থেকে কলকাতা পুলিসের ৩টি অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল ১ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে বউবাজারে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়। গতকাল বালিগঞ্জে ইডির অভিযানে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতে ফের টাকা উদ্ধার।
গাড়িটি কার তার খোঁজ চলছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই টাকা কী কারণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই টাকা যদি বেআইনি না হয় তাহলে তারা নথি থাকার কথা। কিন্তু সেই নথি ধৃতরা দেখাতে পারেনি বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়েই খতিয়ে দেখছে পুলিস।
উল্লেখ্য, গতকাল বালিগঞ্জের গরচায় একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই টাকার উত্স খোঁজ করতে গিয়ে ইডির দাবি, ওই টাকা কয়লা পাচারের টাকা। এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তার কালো টাকা সাদা করছিলেন। ওই কাজ হচ্ছিল ওই প্রভাশালী নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনজিত্ সিং গেরেওয়ালের মাধ্যমে। বাজার মূল্যের থেকে কম দামে ৩ কোটি টাকা একটি সম্পত্তি হস্তান্তর হয়। পাশাপাশি ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন হচ্ছিল। সেই টাকার একটি অংশমাত্র উদ্ধার হয়েছে। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার।
ইডির তরফে দাবি করা হচ্ছে, অত্যন্ত প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে মনজিত্ সিং গেরেওয়াল নামে এক ব্যক্তি কয়লা পাচারের টাকা দিয়ে চক্রবেড়িয়া এলাকায় একটি গেস্টহাউস কেনার চেষ্টা করেন। ওই সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন হচ্ছিল। সেই টাকার মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা গতকাল বালিগঞ্জের এক নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেখানেই তা লেনদেন হচ্ছিল। কেনেদ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে খবর ছিল কয়লা পাচারের টাকা একটি সংস্থার মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা হচ্ছে। ওই খবরের ভিত্তিতেই ওই সংস্থায় তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে খবর ১২ কোটি টাকার সম্পত্তির দাম মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখিয়ে কেনা হচ্ছিল। বাকী ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন করা হচ্ছিল। সেটা করছিলেন মনজিত্ সিং গেরেওয়াল। শহরে তাঁর একটি জনপ্রিয় ধাবা রয়েছে।