আরজিকরে গণধর্ষণের ঘটনায় বেআব্রু কলকাতার নিরাপত্তা
আরজিকরে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাসপাতালের নাইট শেল্টারে আশ্রিত এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই লিফটম্যান এবং তাঁর আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: আরজিকরে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাসপাতালের নাইট শেল্টারে আশ্রিত এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই লিফটম্যান এবং তাঁর আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় শ্বশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে হরিহর পাড়ায় বাপের বাড়িতে চলে আসেন ওই মহিলা। সেখানেও পারিবারিক সমস্যা শুরু হওয়ায়, দিন দশেক আগে বাড়ি ছেড়ে লালগোলা প্যাসেঞ্জার ধরে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। আশ্রয় নিয়েছিলেন আরজিকর হাসপাতালে। লোকজনের ফাইফরমাস খেটে কোনও ক্রমে চলছিল। রাতের ঠিকানা ছিল হাসপাতালেরই নাইট শেল্টার। অসহায় অবস্থায় থাকা এই মহিলাকে হাসপাতালে নার্সের চাকরির টোপ দেয় লিফটম্যান মুন্না আলি খান ওরফে মাসুম।
শুক্রবার, রাত ১২.৩০:
অভিযোগ, লেডিজ হস্টেলের একতলায় লিফটের সামনে মহিলাকে ধর্ষণ করে মুন্না ও তার এক আত্মীয় হায়দার আলি।
কোনও ক্রমে হাসপাতালের বাইরে পুলিস কিয়স্কের সামনে আসেন নির্যাতিতা। একজন কনস্টেবলকে ট্যাক্সি ধরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। ট্যাক্সি ডেকে দিলে তাতে উঠে বেলঘরিয়া জোড়া মন্দিরের উদ্দেশে চলে যান তিনি। মহিলাকে কাঁদতে দেখে ট্যাক্সি টালা থানায় নিয়ে আসেন চালক।
রাত ২.৩০:
টালা থানার পুলিসের হাতে মহিলাকে তুলে দেন চালক। এরপরই পুলিসকে ঘটনাটা জানান নির্যাতিতা। রাতেই টালা থানার তরফে যোগাযোগ করা হয় আরজিকর পুলিস ফাঁড়ির সঙ্গে। হাসপাতাল চত্বর থেকে রাতেই মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিস। সকালে তার আত্মীয় হায়দর আলিকে বেলগাছিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আরজি কর কাণ্ডে আরও একবার প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালে মহিলাদের নিরাপত্তা।
আরজিকরে কর্মরত লিফটম্যানরা সকলেই পূর্তদফতরের অধীনস্থ ঠিকাদারদের নিয়োগ করা কর্মী। নিয়মমাফিক এইসব কর্মীদের ওপর নজরদারির দায়িত্বও নির্দিষ্ট দফতরেরই। তবে নজরদারির বিষয়টিতে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তপক্ষের। এদিকে ঘটনার পরেই পূর্ত দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে আরজিকর কর্তৃপক্ষ।অবিলম্বে দফতরের অধীনস্থ ঠিকাদার ও তাদের নিয়োজিত কর্মীদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের সকলকে সশরীরে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।