হেনস্থার শিকার পিঙ্কি, তদন্তের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের
জাতীয় অ্যথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এপিডিআরের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে পৃথকভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। দুজনকেই এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
জাতীয় অ্যথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এপিডিআরের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে পৃথকভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। দুজনকেই এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবকেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে দুসপ্তাহের মধ্যে। কোনও শীর্ষ পদাধিকারীকে দিয়েই তদন্ত করাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষার নামে পিঙ্কি প্রামাণিককে হেনস্থার করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবারই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। যেভাবে পরীক্ষার নামে পিঙ্কিকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ঘোরানো হচ্ছে, তা নিয়ে সরব হয়েছে ওই মানবাধিকার সংগঠন। আন্তজার্তিক আসরে সোনাজয়ী অ্যাথলিটকে যাতে অযথা হেনস্থা না হয় সে বিষয়টি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে দেখার জন্য অনুরোধ করে এপিডিআর।
গ্রেফতারের পরে ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও পরিকাঠামোর অভাবে জানা গেল না পিঙ্কি ছেলে না মেয়ে। বরং এই সময়ের মধ্যে তিন তিনবার পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল বিভিন্ন হাসপাতালে। প্রতিদিনই হাজার খানেক জনতার সামনে পুলিসি ঘেরাটোপে হাসপাতালে যাতায়াতের এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পিঙ্কিও। তিনি বলেন এমন হেনস্থার শিকার এর আগে কখনও তাঁকে হতে হয়নি।
কোন পথে এগোচ্ছে পিঙ্কি প্রামাণিকের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা?
১৮ জুন
গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেসরকারি হাসপাতালে একদফা লিঙ্গ পরীক্ষা হয় পিঙ্কির। ন্যূনতম পরীক্ষা করেই পিঙ্ককে ছেলে হিসাবে রায় দিয়ে দিয়েছিল সেই বেসরকারি হাসপাতাল।
২৯ জুন
মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়। বারাসত জেলা হাসপাতালে তিন ঘণ্টা ধরে পরীক্ষার পর সেই বোর্ড জানিয়ে দেয়, পরিকাঠানো নেই, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
২৫ জুন
এসএসকেএম হাসপাতালে তিন ঘণ্টা পরীক্ষার পর ফের জানিয়ে দেওয়া হল পরিকাঠামো নেই।
২ জুলাই
এসএসকেএম হাসপাতালে রক্তের নমুনা নেওয়া হল ক্রোমোজোম পরীক্ষার জন্য।
একটাই পরীক্ষা, তার পরিকাঠামো নেই, অথচ তিন তিনবার পরীক্ষার জন্য জেল থেকে হাসপাতালে ঘোরাঘুরি। দেখছেন আমজনতা।
এর আগে ২৯ জুন পিঙ্কি প্রামাণিকের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বারাসত আদালত। এক মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গত ১৪ জুন পিঙ্কিকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিস। পিঙ্কির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা।