বিশ্ববিদ্যালয় হোক বা লোকসভা কেন্দ্র, যাদবপুর মানেই বিদ্রোহ-বিতর্ক
যাদবপুর। তা সে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রই হোক, বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর মানেই যেন বিদ্রোহ-বিতর্ক। যাদবপুর মানেই যেন উল্টো সুর। তা সে বাম আমলেই হোক, বা তৃণমূলের আমলে। GFX- যাদবপুর...(টাইপ সাউন্ড)
যাদবপুর। বিতর্ক যেন নিত্যসঙ্গী। কবীর সুমন। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তখন। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের সুখের সংসারে প্রথম বিদ্রোহী। প্রথম ধাক্কা। যাদবপুরের সাংসদ।
যাদবপুরের গানওলাকে নিয়ে কম অস্বস্তি পোহায়নি শাসক তৃণমূল। একবার নয়, বারবার।
পরের নামটি সুগত বসু। প্রথিতযশা এই শিক্ষাবিদও তৃণমূলের টিকিটে বর্তমান সাংসদ। সেই যাদবপুরেরই সাংসদ। সম্প্রতি সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে যা বললেন, শাসক দলের পক্ষে বেজায় অস্বস্তির। এই যাদবপুরেরই বিশ্ববিদ্যালয়খানিতে বারবার, বারবার শাসক দলের গায়ে কাঁটার মতো বিঁধেছে।
গত কয়েক মাস ধরে কলরবে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যে কলরবের আওয়াজ যাদবপুরের গন্ডি ছাড়িয়ে পৌছে গেছে দেশ-বিদেশে। শুধু তৃণমূল আমলে নয়, বাম আমলেও যাদবপুর কাঁটার খোঁচা খেতে হয়েছে সরকারকে। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিসি লাঠিচার্জের পর সরব হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস থেকে রাজপথ। তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কালো পতাকা দেখানোয় পুলিসের লাঠি আছড়ে পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপর। কম ঝড় ওঠেনি এই নিয়েও।
এভাবেই বুদ্ধ থেকে মমতা সরকার- যাদবপুর খোঁচায় আহত সবাই। তবে মাস কয়েক আগে কলকাতায় আসা কেশরিনাথ ত্রিপাঠি মশাই যাদবপুরের পাল্স না বুঝে ওভার কনফিডেন্ট হয়ে ছিলেন। রং অ্যাসেসমেন্ট ছিল, সমাবর্তনের মঞ্চে টের পেলেন হাড়ে হাড়ে।