যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য কাজে যোগ দিয়েই র‍্যাগিং নিয়ে সুর নরম করলেন

অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পরই র‍্যাগিং ইস্যুতে সুর নরম করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। প্রাক্তন উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় যেসব ছাত্রছাত্রী দোষী তাঁদের শাস্তি কোনও ভাবেই কমানো হবে না। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটলেন নতুন উপাচার্য। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেকেরই প্রশ্ন, শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই কি উপাচার্যের এহেন সিদ্ধান্ত?

Updated By: Oct 28, 2013, 06:04 PM IST

অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পরই র‍্যাগিং ইস্যুতে সুর নরম করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। প্রাক্তন উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় যেসব ছাত্রছাত্রী দোষী তাঁদের শাস্তি কোনও ভাবেই কমানো হবে না। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটলেন নতুন উপাচার্য। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেকেরই প্রশ্ন, শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই কি উপাচার্যের এহেন সিদ্ধান্ত?
র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও ওই ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া যাবে না। এই দাবি তুলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্যকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে। কিন্তু ঘেরাওয়ের মুখে অনড় থেকেই শৌভিক ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, দোষীদের শাস্তি কিছুতেই  কমানো হবে না।
সেই সময় অভিজিত্‍ চক্রবর্তী ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য। মূলত অভিজিতবাবুর চাপেই শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য তৈরি হয় কমিটি। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই রিপোর্ট পেশের আগেই নতুন উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী জানিয়ে দিলেন, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় শাস্তি দেওয়ার পক্ষপাতি তিনি নন।
শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তিন সদস্যের যে কমিটি তৈরি হয়েছিল, উপাচার্যের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রিপোর্ট জমা পড়ার আগেই উপাচার্যের এহেন মন্তব্য রীতিমত বিতর্ক তৈরি করেছে। অনেকেরই ধারণা, দোষী ছাত্রছাত্রীদের শাস্তি দেওয়া থেকে পিছু হটছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। নিছক জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য যদি উপাচার্য এই পথে হাঁটেন, তাহলে আগামী দিনে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা আটকানো যাবে তো?
 

.