প্রদেশ নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে পালটা জয়রামের

ইন্দিরা ভবনের নাম বদলকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণণূল সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ হাইকম্যান্ডকে। রাজ্যসফরে এসে কিন্তু প্রদেশ নেতৃত্বের পাশেই দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তৃণমূল নেত্রী তথা তৃণমূল নেতৃত্বের সব বক্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি।

Updated By: Jan 25, 2012, 11:04 PM IST

ইন্দিরা ভবনের নাম বদলকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণণূল সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ হাইকম্যান্ডকে। রাজ্যসফরে এসে কিন্তু প্রদেশ নেতৃত্বের পাশেই দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তৃণমূল নেত্রী তথা তৃণমূল নেতৃত্বের সব বক্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রে  ইউপিএ সরকারের বড় শরিক হিসাবে প্রাপ্য মর্যাদা নিয়েই চলতে চায় কংগ্রেস। তৃণমূলের একার চেষ্টায় যে রাজ্যে পরিবর্তন আসেনি, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে ৮ মাস। কিন্তু এরই মধ্যে একাধিক ইস্যুতে দুই শরিকের কাজিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামে  কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই আচরণকে ভালোভাবে নেননি তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কংগ্রেসকে সিপিআইএম-এর `বি` টিম বলে তোপ দেগেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তাঁর সাফ কথা, কংগ্রেস এই দেশের `এ` টিম। বর্তমান রাজ্য সরকার গঠন এবং পরিচালনায়  কংগ্রেসের অবদানও নেহাত কম নয়। জোট সরকারের স্বার্থে কোনওভাবে আঘাত না হেনেও কংগ্রেসের যে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের যৌক্তিকতা রয়েছে, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে কংগ্রেসের আন্দোলন সিপিআইএম-এর হাত শক্ত করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মন্তব্যও খণ্ডন করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। এক দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যে কাজের অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনা, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ে আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল। এই দুটি ইস্যুতে জয়রাম রমেশের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর রাস্তা থেকে এখনও সরছে না কংগ্রেস।

.