জোড়াবাগানে নাবালিকার গলাকাটা দেহ উদ্ধার, CCTV ফুটেজ দেখে অপরাধীর খোঁজে পুলিস
ছাদের গেট বন্ধ ছিল। সামনের দিকে একটু জায়গা রয়েছে। সেখানেই পড়েছিল দেহটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জোড়াবাগানে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের ঘটনায় রবীন্দ্র সরণি এলাকার চিৎপুর যাত্রাপাড়া ও গোলাবাজারের ২টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। জোড়াবাগানের পাঁপড় গলির একটি বাড়ির ছাদ থেকে নাবালিকার অর্ধ বিবস্ত্র, গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি নামে লালবাজার। যে রাস্তায় স্নিফার ডগ তার গন্ধ শোঁকা শেষ করেছিল, সেখানকার সব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজেই অপরাধীর সূত্র মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি যে দুই বালিকার সঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, অভিভাবকদের উপস্থিতিতে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বোনের মধ্যে সে-ই সবথেকে ছোট ছিল। মাত্র ৯ বছর বয়স তার। কলেজ স্ট্রিটের একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিত পাঠরত ছিল ওই নাবালিকা। নাবালিকার বড় মামী জানান, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ, ১৬ বছর বয়সী মেজো দিদির সঙ্গে মামার বাড়িতে এসেছিল ওই নির্যাতিতা। এরপর রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাতেই জোড়াবাগান থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজনেরা। এরপর ভোর ৬টা নাগাদ মামার বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে ওই নাবালিকার অর্ধ বিবস্ত্র, গলাকাটা, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
নির্যাতিতার মামী আরও বলেন, সকালে একজন কাজ করতে এসেছিলেন। তিনি-ই দেখেন ছাদে ওই নাবালিকার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ছাদের গেট বন্ধ ছিল। সামনের দিকে একটু জায়গা রয়েছে। সেখানেই পড়েছিল দেহটি। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, যৌন নির্যাতন চালানোর পর খুন করা হয়েছে ৯ বছরের ওই নাবালিকাকে। নাবাবিকার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যেন বাঁদিক থেকে ডানদিকে আড়াআড়িভাবে চিড়ে দেওয়া হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।
আরও পড়ুন, বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু , গ্রেফতার নববধূ ও শ্বশুর