ভবিষ্যৎ আমাদের, ৩ থেকে ৭৭ হয়েছি, ৭৭ থেকে ২০০ পার করব, 'পেপ টক' Nadda-র
নিদারুণ পরাজয়ের পর কর্মীদের আত্মবিশ্বাস অটুট রাখতে এ দিন 'পেপ টক' দেন নাড্ডা (JP Nadda)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় বিধানসভা ভোটে দুশো আসনের লক্ষ্য বেঁধেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। লক্ষ্যের অদূরেই থমকে গিয়েছে গেরুয়া রথ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির হয়ে নিরাশ নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁর বার্তা,'ভবিষ্যৎ আমাদের। কেউ আটকাতে পারবে না। ৩ থেকে ৭৭ হয়েছি। ৭৭ থেকে ২০০ পার করব।'
নিদারুণ পরাজয়ের পর কর্মীদের আত্মবিশ্বাস অটুট রাখতে এ দিন কার্যত 'পেপ টক' দেন নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন,'বাংলায় বিজেপি অনেকটা পথ পেরিয়েছে। স্মরণ করুন ২০১৪ সালে সাকুল্যে ২টি আসন জিতেছিল বিজেপি। সাংসদ হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় এবং আলুওয়ালিয়া। ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম। ২০১৬ সালে মাত্র ৩ আসন পেয়েছিলাম। ভোটের হার ১০.১৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে ৪০.৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম। জিতেছি ৪২টির মধ্যে ১৮ আসন। প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভায় ভোটের হার ৩৮.১ শতাংশ এবং প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ ভোট। ৩ থেকে ৭৭-এ পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি। এটা বড় প্রাপ্তি। বাংলায় তৃণমূলের বিপক্ষে এখন শুধুই বিজেপি (BJP)। তিন দশক শাসন চালিয়ে সিপিএম (CPM) শেষ। আড়াই দশক রাজত্ব চালিয়ে কংগ্রেস (Congress) আর নেই। এত স্বল্প সময়ে লড়াই করে এখানে এসেছি। আমার পূর্ণ বিশ্বাস, আগামী ৫ বছরে বিজেপি আরও বড় লক্ষ্যে ঝাঁপাবে। পরেরবার ক্ষমতায় আসব। এটা মোটেই অতিশয়োক্তি নয়। লক্ষ্য পূরণ করব।'
তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে এ দিন সরব হয়েছেন নাড্ডা (JP Nadda)। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করবে বিজেপি। দমনের মানসিকতাকে গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করা হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কথায়,'বিজয় পালনের আগেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। কেরল, পুডুচেরি, তামিলনাড়ুতেও ভোট হয়েছে। নির্বাচনের পর কোথাও হিংসা হয়নি! কারণ সেখানে তৃণমূল নেই। আমাদের ১ হাজার ২৫৮ জন কর্মীর উপরে হামলা হয়েছে। প্রায় ১,৩৯৯ সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। ৬৭৬ লুঠের ঘটনা ঘটেছে। ১০৮ পরিবারকে হুমকি দিয়েছে তণমূল। আরামবাগ ও বিষ্ণুপুরে বিজেপি কার্যালয় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব চেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছেন মহিলারা। মহিলারাই যেখানে সুরক্ষিত নন সেখানে কী ধরনের রাজত্ব চলছে! গণতান্ত্রিকভাবে সমূলে এই চিন্তাভাবনার উৎপাটন করব। লড়াই ছাড়ব না। কর্মীদের আবেদন করব, দীর্ঘ পথ। লড়াই করতে হবে।'
তৃণমূল-মমতা ও দুর্নীতি সমার্থক হয়ে গিয়েছে বলে ভুয়ো টিকাকাণ্ড নিয়ে নাড্ডার কটাক্ষ, তৃণমূল সাংসদ মিমিকেই ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বাবুলের গাছ লাগালে কি আম পাওয়া যাবে! ভারতে ভুয়ো টিকাকরণ সম্ভব শুধু মমতার রাজ্যে।
ভাষণের সূচনার মতোই উপসংহারেও ২০২৬-র আশা দেখিয়েছেন নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁর কথায়,'২০১৪ সাল থেকে তীব্র গতিতে এগিয়েছে বিজেপি। ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে জিতব। বাংলায় শীঘ্রই আসব। আপনাদের ওখানে লকডাউন ও কোয়ারিন্টিন চলছে। কত দিন চলবে মমতাদি! আমি আসব।'
আরও পড়ুন- জৈন ডায়েরির সর্বশেষ নাম 'Dhankhar', আপনিই কি সেই লোক? জানতে চাইলেন Sukhendu