সংবিধানের ধার না ধেরে থানাতেই মানহানির মামলায় প্রশ্ন
কার্টুন বিতর্কে নয়া মোড়। অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মানহানির মামলা করার এক্তিয়ারই নেই। আইনজীবীদের বক্তব্য যাঁর মানহানি হয়েছে, একমাত্র তিনিই আদালতে গিয়ে এই সংক্রান্ত মামলা করতে পারেন। এমনকি গোটা প্রক্রিয়ায় পুলিস যে ভূমিকা নিয়েছে তাকেও অসাংবিধানিক বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীরা।
কার্টুন বিতর্কে নয়া মোড়। অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মানহানির মামলা করার এক্তিয়ারই নেই। আইনজীবীদের বক্তব্য যাঁর মানহানি হয়েছে, একমাত্র তিনিই আদালতে গিয়ে এই সংক্রান্ত মামলা করতে পারেন। এমনকি গোটা প্রক্রিয়ায় পুলিস যে ভূমিকা নিয়েছে তাকেও অসাংবিধানিক বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীরা।
অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে যে চারটি ধারায় মামলা করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ৫০০ নম্বর ধারা, যা মানহানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু আইনজীবীদের মতে যাঁর মানহানি হয়েছে তিনি ছাড়া অন্য কেউ তাঁর হয়ে মামলা করতে পারেন না। তৃণমূল কর্মীদের স্বতপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা মামলা, আইনগত দিক থেকে সম্ভব নয়। এমনকি মানহানির মামলা থানায় নয়, একমাত্র আদালতেই করা যায় বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাই পুলিসের অতি সক্রিয়তার নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। একই সঙ্গে সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অম্বিকেশ মহাপাত্রকে থানায় আটকে রাখাও সংবিধান বিরোধী বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করেছিল, তাদের মধ্যে অনেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টই নেই। ব্যঙ্গচিত্র কাণ্ডের অন্যতম অভিযোগকারী তৃণমূল কর্মী অমিত সর্দারের নিজে ই-মেল ব্যবহার করেন না। তদন্তে পুলিস এমন তথ্যই জানতে পেরেছে। রবিবার অমিত সর্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, অস্বস্তির সঙ্গে এই তৃণমূল নেতা জানিয়ে দেন তিনি এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চান না।
মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানীকর কোনও ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শিত হলে, নিয়ম অনুযায়ী আদালতে সরকারি আইনজীবির অভিযোগ জানানোর কথা। ১৯৯ সিআরপিসি অনুযায়ী সরকারি আইনজীবির অভিযোগ পেয়ে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করবে। এক্ষেত্রে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস হঠাত্ করে বেশি তত্পরতা কেন দেখালো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজ্ঞরা।