৮ বছর পর সিআইডির হাত থেকে খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দিল হাইকোর্ট
২০১১ সালের ১২ জুলাই খুন হন বেলঘোড়িয়ার বাসিন্দা ও পেশায় ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা
নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা আট বছর পর এক ইঞ্জিনিয়ারের খুনের তদন্তভার সিআইডির হাতে থেকে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-পুলিসকর্মীদের জন্য খুশির খবর, খুব তাড়াতাড়ি বাড়ছে বেতন
২০১১ সালের ১২ জুলাই খুন হন বেলঘোড়িয়ার বাসিন্দা ও পেশায় ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা। পরকীয়া প্রেমের জেরেই খুন হতে হয় জুনিয়রকে। এমনটাই অভিযোগ ওঠে। জুনিয়রের পরিবারের অভিযোগ ছিল, প্রাক্তন ফুটবলার বলরাম চৌধুরীর পুত্রবধূ মুনমুন ওরফে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জুনিয়রের।
পরিবারের অভিযোগ ছিল, ১২ জুন মুনমুনের সঙ্গেই দেখা করতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় জুনিয়র। কিন্তু পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বেলঘোড়িয়া এক্সপ্রেস ওয়ের ধারে একটি জায়গা থেকে। ওই ঘটনার সঙ্গে বলরাম চৌধুরী ও তার পরিবার জড়িত বলে অভিযোগ তোলা হয়। গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানানো হয়। তবে এনিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন-একা বিজেপিকে রুখতে পারবেন না, নিজেই স্বীকার করে নিলেন মমতা: মুকুল
বুধবার মামলাটি সিআইডির হাত থেকে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আদেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। জুনিয়রের আইনজীবী নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে বলেন, এতদিন কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। সিআইডি বুলেট ইঞ্জুরির কথা বললেও কীভাবে ওই আঘাত এল তা উল্লেখ করেনি। এদিকে, নিম্ন আদালতে চার্জসিট পেশ হওয়ার পর সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ কার্যত নজিরবিহীন বলেই মত আইনজীবীদের।