নবদিগন্তে জল সরবরাহের জন্য এবার টাকা নেবে কলকাতা পুরসভা
নবদিগন্তে জল সরবরাহের জন্য এবার টাকা নেবে কলকাতা পুরসভা। গতকাল বৈঠকে জুসকো কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরসভার এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্যের শিল্পমহলের আশঙ্কা, এর জেরে ব্যাপকভাবে মার খাবে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র।
ওয়েব ডেস্ক: নবদিগন্তে জল সরবরাহের জন্য এবার টাকা নেবে কলকাতা পুরসভা। গতকাল বৈঠকে জুসকো কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরসভার এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্যের শিল্পমহলের আশঙ্কা, এর জেরে ব্যাপকভাবে মার খাবে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র।
নবদিগন্তের পরিকাঠামো উন্নয়নে জল ও নিকাশির জন্য পিপিপি প্রকল্পে কেএমডিএ ও নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হয় টাটার সহযোগী সংস্থা জুসকোর। ৩০ বছরের ওই চুক্তিতে বলা হয়, পরিকাঠামো উন্নয়নে টোকেন হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি থেকে ফি নেবে জুসকো কর্তৃপক্ষ। সেই মতো আইটি সেক্টরের বিভিন্ন সংস্থা থেকে জল সরবরাহের জন্য কিলো লিটার পিছু ৩১ টাকা ২০ পয়সা ফি নেয় জুসকো। জুসকোর দাবি, চুক্তি অনুযায়ী ৩১ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে চার টাকা তারা দেয় নবদিগন্তকে। যেহেতু বিধাননগর পুরসভা কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে জল নিয়ে তা দেয় জুসকোকে, সেই কারণেই এবার জলের জন্য জুসকোর কাছে টাকা দাবি করল কলকাতা পুরসভা।
জুসকোর দাবি, চুক্তিতে কোনও পক্ষ ছিল না কলকাতা পুরসভা। তাই কলকাতা পুরসভার দাবি মতো জলের জন্য কিলো লিটার পিছু ১৮ টাকা দিতে হলে, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি থেকে প্রতি কিলোলিটারে ফি বাড়াতে হবে আরও ১৯ টাকা। তেমনটা হলে সমস্যায় পড়বে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র।
সেক্টর ফাইভের অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান কল্যাণ কর জানিয়েছেন, 'আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, বেঙ্গালুরু বা মুম্বইয়ের তুলনায় কলকাতায় জমির দাম বা ভাড়া কম। কিন্তু বাস্তবে সেটা একেবারেই নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তা বেশি। সে ক্ষেত্রে সেক্টর ফাইভে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যদি জল ও নিকাশির রক্ষণাবেক্ষণের টাকা যদি এক লাফে এতটা বেড়ে যায়, তাহলে বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়বে ছোট সংস্থাগুলিও।'
প্রতিযোগিতার বাজারে বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির ওপর যেমন এর প্রভাব পড়বে, তেমনই অতিরিক্ত অর্থ দিতে হলে চরম সমস্যায় পড়তে হবে ছোট এবং মাঝারি সংস্থাগুলিকে।