নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বই মেলায় জ্বলছে আগুন
দমকলের কড়া নির্দেশিকা, গিল্ডের নজরদারি সবই ছিল, তবুও গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালিয়ে চলছিল জমিয়ে রান্না। এছবি এছরের কলকাতা বইমেলার ফুডকোর্ট চত্বরের। বুধবার খবর সম্প্রচারের পর শেষপর্যন্ত দমকলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা গিয়ে বন্ধ করে দিলেন রান্না।
দমকলের কড়া নির্দেশিকা, গিল্ডের নজরদারি সবই ছিল, তবুও গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালিয়ে চলছিল জমিয়ে রান্না। এছবি এছরের কলকাতা বইমেলার ফুডকোর্ট চত্বরের। বুধবার খবর সম্প্রচারের পর শেষপর্যন্ত দমকলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা গিয়ে বন্ধ করে দিলেন রান্না।
১৯৯৭-এর বইমেলা আগুনে পুড়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন আজও দগদগে অনেকের মনে। ওই বছরের পর থেকে বইমেলা চত্বরে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গিল্ড। প্রতিটি স্টল মালিককে বইমেলা শুরুর আগেই পাঠানো হয় কঠোর অগ্নি নিয়ন্ত্রণ বিধি। ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও। কিন্তু তারপরও ফুডকোর্টে অবাধে চলছিল আগুন জ্বালিয়ে রান্না।
বুধবার বইমেলা প্রাঙ্গনে অবাধে আগুন জ্বালিয়ে রান্নার খবর সম্প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বইমেলা চত্বরে পৌঁছন উচ্চ পদস্থ দমকল আধিকারিকরা বন্ধ করে দেওয়া হয় রান্না। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে গিল্ডের নাকের নাকের ডগায় কীভাবে গত চারদিন গ্যাস জ্বালিয়ে রান্না চলছিল। বইমেলায় আসা অসংখ্য মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কেনই এতটা উদাসীন গিল্ড কর্তৃপক্ষ? সে বিষয়েও উঠছে প্রশ্ন।