Businessman Murder: লি রোড গেস্ট হাউজে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে শিরিডি থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
ফোন ট্র্যাক করে কলকাতা পুলিস জানতে পারে যে সে আমেদাবাদ পালিয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লি রোডের গেস্ট হাউজে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে (Businessman Murder) গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম বিশাল শর্মা। মহারাষ্ট্রের শিরিডি (Shirdi) থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে তাকে।
জানা গিয়েছে, ধৃত ওড়িশা থেকে একটি ফোন কিনেছিল। সেই ফোন ট্র্যাক করে কলকাতা পুলিস জানতে পারে যে সে আমেদাবাদ পালিয়ে গিয়েছে। তখন গুজরাট পুলিসকে সতর্ক করা হয়। গুজরাট পুলিস তারপর সোর্স মারফত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে আমেদাবাদের একটি হোটেলে হানা দেয়। কিন্তু সেখান থেকেও তখন পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত বিশাল শর্মা। তবে সেখান থেকে একটি আধার কার্ড ও পরিচয়পত্র পায় পুলিস। যার উপর ভিত্তি করেই শিরিডিতে মূল অভিযুক্ত বিশাল শর্মার খোঁজ পায় পুলিস। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য শিরিডি যাচ্ছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা দফতরের একটি দল।
টেলিফোনের তার পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। ময়নাতদন্তে মেলে তার প্রমাণ। এখন নিখোঁজ ব্যবসায়ীর উদ্ধারে মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছিল রাত সোয়া ১০টা নাগাদ। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা যায়, মৃত্যু হয়েছিল তার আগেই। মুক্তিপণ নেওয়ার আগেই কেন খুন করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে? সেটাই ভাবায় তদন্তকারীদের। ধৃতকে জেরা করে এবার তার উত্তর মিলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার দিন রাত সোয়া ১০টা নাগাদ অপহরণকারীর নির্দেশমতো একটি হলুদ ট্যাক্সিতে ২৫ লক্ষের বেশি টাকা দিয়েছিল পরিবারের সদস্য। টাকা নেওয়ার পরই ব্যবসায়ীর ফোন ছুঁড়ে পালায় ট্যাক্সিটি। সেই ফোনে নিহত ব্যবসায়ীর সঙ্গে একজনের মেসেজের হদিশ পান গোয়েন্দারা। যে সূত্র ধরেই গেস্টহাউজ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়।
তদন্তে উঠে আসে ঘটনার ৪ দিন আগে শহরে আসে আততায়ী। মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে ওঠে। এরপর ঘটনার আগে সোমবার সকালে ভবানীপুরের ওই গেস্টহাউসে যান শান্তিলাল ও আততায়ী। কিছুক্ষণ থেকে তারপর বেরিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় ফের দুজনে ওই গেস্টহাউজে যান। তদন্তে আততায়ীর সঙ্গে বেশকিছু আপত্তিকর চ্যাটও হাতে আসে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন,
Maniktala Murder: বাড়ির কাছেই মিলল বার সিঙ্গার যুবকের দেহ, 'খুনি' স্ত্রী?
Newtown: খাটের উপর দুপাশে পড়ে ছেলে ও মেয়ের মৃতদেহ, মাঝখানে থাকত মা!