Kolkata High Court: গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে 'না' হাইকোর্টের
পুজোর মধ্যেও চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে বিক্ষোভে কিন্তু অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, 'যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুজো আছে বলে পুলিস তাদের আন্দোলন করতে দেবে না। এটা হয় না। এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়।'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে বড় ধাক্কা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভের মেয়াদ আর বাড়াতে নারাজ হাইকোর্ট। প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে 'না' হাইকোর্টের। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থীর অবস্থান বিক্ষোভের মেয়াদ আর বাড়ালো না হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের পর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয় পুলিস। যার পাল্টা ২ মাসের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট।
৬ সেপ্টেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিসের কাছে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন দাখিল করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয় পুলিস। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত পুজোর মধ্যেও চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে বিক্ষোভে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, 'যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুজো আছে বলে পুলিস তাদের আন্দোলন করতে দেবে না। এটা হয় না। এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়।' বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা নির্দেশ দেন, 'ধর্মতলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী এক মাসের জন্য আন্দোলন করতে পারবেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময় মেনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন। রানি রাসমণি রোড নাকি গান্ধীমূর্তির পাদদেশ, কোথায় হবে আন্দোলন, পুলিসের সঙ্গে কথা বলে তা ঠিক করবেন চাকরিপ্রার্থীরা।'
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে কোনও নিয়োগ শুরু হয়নি। পর্ষদকে বার বার জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। এরপরই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের জন্য পুলিসের কাছে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু পুলিস অনুমতি দেয়নি। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালতে মামলা দায়ের করেন।