Kolkata Medical College: দেড় দিন পর উঠল মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভ, ঘেরাওমুক্ত প্রিন্সিপাল-সহ ২৩জন
ঘেরাও মুক্ত অধ্যক্ষ-সহ তেইশজন। নির্বাচনের নির্দেশিকা জারি করতে কর্তৃপক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দুটোর মধ্যে দাবি মানা না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেড় দিন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ। ঘেরাও মুক্ত অধ্যক্ষ-সহ তেইশজন। নির্বাচনের নির্দেশিকা জারি করতে কর্তৃপক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দুটোর মধ্যে দাবি মানা না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজে অচলাবস্থার জেরে সমস্যায় জেরবার রোগীরা। পুলিসি নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবারই দায়ের করা হয়ে মামলা। স্বাস্থ্য পরিষেবা যে ভাবে ব্যাহত হয়েছে সেটা পুনরায় চালু করা হোক। এই আবেদন নিয়ে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে এদিন মামলা করার অনুমতি চাওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন, Primary TET: বাতিল হতে পারে ২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল!
তবে ঘেরাও উঠলেও, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় চিকিৎসক পড়ুয়ারা। ২২ তারিখেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে তার নির্দেশিকা দিতে হবে। দাবি না মানলে ফের আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিলেন। তবে ঘেরাও প্রত্যাহার করায়, পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আজ সারাদিনে গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। নিজেদের দাবিপূরণ করতে রাতেই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক-সহ মোট ২৩ জনকে ঘেরাও করে পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। যার জেরে ব্যাহত হয় পরিষেবা।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি কর্তৃপক্ষ। আলাপ আলোচনার পর আগামী বাইশে ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন হয়েছিল। কিন্তু এরপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন নিশ্চয়তা না পেয়ে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ।
২ ডিসেম্বর ভোট ঘোষনা করেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদেই সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করে। টানা ঘেরাওয়ের জেরে চরম সমস্যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান ও প্রশাসনিক কর্তারা। ঘেরাও হয়ে থাকা নার্সিং সুপারের মুক্তির দাবিতে পাল্টা অবস্থানে বসে পড়েন নার্সিং স্টাফরা। কিছুক্ষণ পরেই পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর পরিজনরা। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
আরও পড়ুন, অবসরকালীন প্রাপ্য আটকে ৩ বছর, বিচারপতি নির্দেশ দিতেই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্টে ঢুকল টাকা!