আস্ত একটা পুজোই চুরি হয়ে যেতে বসেছে কলকাতায়
পুজো আসলেই নাকি বেড়ে যায় চুরি-ছিনতাই। কত কিছুই চুরি যায় এই বাজারে। কিন্তু পুজো চুরির কথা কোনওদিন শুনেছেন ? হ্যাঁ, শহর কলকাতার পুজোর খবরে এবার সেরা চমক বোধহয় এটাই। যথারীতি এই চুরির পিছনে নিজেদের চরিত্র বজায় রেখে মদত দিয়ে চলেছে পুলিসও।
পুজো আসলেই নাকি বেড়ে যায় চুরি-ছিনতাই। কত কিছুই চুরি যায় এই বাজারে। কিন্তু পুজো চুরির কথা কোনওদিন শুনেছেন ? হ্যাঁ, শহর কলকাতার পুজোর খবরে এবার সেরা চমক বোধহয় এটাই। যথারীতি এই চুরির পিছনে নিজেদের চরিত্র বজায় রেখে মদত দিয়ে চলেছে পুলিসও।
গড়িয়াহাট গোলপার্ক লাগোয়া এই জায়গায় দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে পুজো করে জাগরণী নামে একটি সংগঠন। সেই পুজো দখল করার জন্যই নাকি বহিরাগতরা চাপ দিয়ে চলেছেন। বলছেন এখন থেকে পুজোটা তাদেরই করতে দিতে হবে।
পুজোর সম্পাদক, দেবাশিস, যেখানে বলছেন, আমরাই পুজো করে আসছি বছরের পর বছর। এবার বহিরাগতরা বলছে পুজো ছেড়ে দিতে হবে, পুজো চুরি হয়ে যাচ্ছে)
যদিও পঁচাত্তর বছরের এই পুজোর জন্য পুরসভার অনুমোদন রয়েছে। পুজোর করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে লেক থানাও। চাঁদা তোলার জন্য বিলে পুলিসের ছাপ দেওয়া হয়েছে। যাবতীয় নথিতেও সম্পাদকসহ পুজো কমিটির প্রত্যেক সদস্যের নাম রয়েছে।
কিন্তু তাতে পুজো চুরি আটকাচ্ছে না। রাস্তাঘাটে হুমকিও শুরু হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে পুলিসে অভিযোগ জানায় পুজো কমিটি। কিন্তু তারপর আরও মারাত্মক ঘটনা।
সহসভাপতি বলছেন পুলিস প্রশাসনের ভূমিকার কথা। বললেন, বৈঠকে বলতে দেওয়া হয়নি।
যাঁরা এই পুজো চুরি করায় উদ্যোগী, তারা নাকি শাসক দলের সমর্থক। সেই কারণেই কী বিভাগীয় ডিসি এবং লেক থানার ওসি-র এই ভূমিকা ? শেষ পর্যন্ত উদ্যোক্তারা প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু করেছেন ঠিকই। কিন্তু পুলিসের মদতে যেভাবে পুজো চুরির চেষ্টা চলছে তা পরের বছরের পুজোর থিমও হতে পারে।