কে ইদ্রিস? কড়েয়া শুট আউটকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জনরোষ আছড়ে পড়ে ইদ্রিসের ওপর। কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় এলাকা।  বেপরোয়া ভাঙচুর চলে ইদ্রিসের বাড়ি ও অফিসে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ইদ্রিসের অফিসের যাবতীয় নথিপত্র। 

Updated By: Jan 9, 2018, 01:00 PM IST
কে ইদ্রিস? কড়েয়া শুট আউটকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন:  শেখ ইদ্রিস ওরফে ভোলা, কড়েয়া শুট আউটকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এই ব্যক্তিই ত্রাস হয়ে উঠেছিল ব্রাইট স্টিটের। কিন্তু কে এই ইদ্রিস?  তদন্তে উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 
গত কয়েক বছরে প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করে প্রভাব বাড়িয়েছিল ইদ্রিস। তথাকথিত আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠছিল ইদ্রিসের বাড়ি ও অফিসে। কাজের সূত্রেই এলাকায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে রোজ ওঠাবসা ছিল তার। এলাকায় ধীরে ধীরে ‘ডন’ বলে পরিচিত হয়ে উঠছিল ইদ্রিস। হুমকি, এলাকা দখল-সহ একাধিক দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছিল স্থানীয়দের মধ্যে। থানায় একাধিকবার তার নামে নালিশও করেন স্থানীয়রা। 

আরও পড়ুন: সাতসকালে শুটআউট! কড়েয়ায় মৃত যুবক

অন্যদিকে, নির্মাণ ব্যবসার সূত্রের শুট আউটকাণ্ডে নিহত আতিকুরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ইদ্রিসের। কিন্তু সম্প্রতি একটি বহুতলের চার তলার একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা বিবাদের জেরে সেই সম্পর্কের অবনতি হয়। অভিযোগ, সম্প্রতি ইদ্রিশ প্রায়শই আতিকুরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিত। এই নিয়ে কড়েয়া থানায় একাধিকবার অভিযোগও করেছে আতিকুরের পরিবার। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। 
মঙ্গলবার সকালে আতিকুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে ইদ্রিসের বিরুদ্ধে। এলাকায় ‘ভালো ছেলে’ বলে পরিচিত আতিকুরের মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারেননি স্থানীয়রা। জনরোষ আছড়ে পড়ে ইদ্রিসের ওপর। কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় এলাকা।  বেপরোয়া ভাঙচুর চলে ইদ্রিসের বাড়ি ও অফিসে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ইদ্রিসের অফিসের যাবতীয় নথিপত্র। তার মধ্যে বেশিরভাগই ব্যবসা সংক্রান্ত কাগজপত্র। ভাঙচুরের সময়ে ইদ্রিসের অফিস থেকে সুতোলি উদ্ধার হয়। যাতে মনে করা হচ্ছে, অফিসে বসেই বোমা বানাত ইদ্রিস। 

আরও পড়ুন: ‘অসুখ ছড়িয়ে গোটা শরীরেই’, পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার পরামর্শ কমিটির
একাধিকবার ইদ্রিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়েই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে পুলিসের ওপর।  মঙ্গলবার সকালে থানা থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে গুলি চললেও পুলিস পৌঁছতে দেরি হল কেন? কেন ইদ্রিসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, উঠছে সে প্রশ্নও। এদিন কার্যত পুলিসের সামনেই ইদ্রিসের বাড়ি ও অফিসে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। পরে পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

.