কুণাল ঘোষ-মুকুল রায় বৈঠক, শুরু জল্পনা
নিজাম প্যালেসে বৈঠক করলেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও সাংসদ কুণাল ঘোষ। দু জনের মধ্যে আধঘণ্টা কথা হয়। দুজনের মধ্যে বৈঠকে ঠিক কী কথা হয় তা নিয়ে কেউই মুখ খোলননি। কুণাল-মুকুলের একান্ত বৈঠকের পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কুণাল ঘোষ দলে ফেরার চেষ্টা করছেন কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কুণাল ঘোষকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।
নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন কুণাল ঘোষ। দুজনের মধ্যে প্রায় আধঘন্টা কথা হয়। ইতিমধ্যে সারদা কাণ্ডে ধারাবাহিকভাবে কুণাল ঘোষকে বিধাননগর কমিশারেট ও দিল্লিতে কোম্পানী বিষয়ক মন্ত্রকের শাখা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই বৈঠক যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল ঘোষের দাবি এটা সৌজন্য সাক্ষাত। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে তিনি গিয়েছিলেন। এর সঙ্গে তদন্তের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তৃণমূল সাংসদের।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কুণাল ঘোষকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।
এর আগে সারদাকাণ্ডে তদন্ত নিয়ে এবার তদন্তকারী সংস্থাকেই কিছুটা কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কুণাল ঘোষ। শনিবার নিয়ে গত এক মাসে আট বার বিধাননগর কমিশারেটে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে কুণালকে। কোনও জেরাই চার ঘণ্টার কমে নয়।
শনিবারের জেরার পর কিছুটা কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থার অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে একমাত্র কুণাল ঘোষই সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে চেনে। আর কেউ নয়। তাঁর প্রশ্ন এত বিরাট সারদা কেলেঙ্কারিতে শুধু সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদেরই কেন বারাবার জেরা করা হচ্ছে।