রাজ্য শ্রমদিবস নষ্ট হয় না, মুখ্যমন্ত্রীর ভিন্ন সুরে কথা বলে নষ্ট শ্রমদিবসের হিসেব দিলেন শ্রমমন্ত্রী
এরাজ্যে কোনও শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বদলে গেছে ছবিটা। বারেবারেই এমন মন্তব্য শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। কিন্তু বিধানসভায় প্রশ্নের উত্তরে ভিন্ন কথা বললেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। মন্ত্রী জানান, গত দু বছরে এরাজ্যে নষ্ট শ্রমদিবসের সংখ্যা তিন কোটি সাত লক্ষ সাতষট্টি হাজার পাঁচশো পঁচিশ।
এরাজ্যে কোনও শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বদলে গেছে ছবিটা। বারেবারেই এমন মন্তব্য শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। কিন্তু বিধানসভায় প্রশ্নের উত্তরে ভিন্ন কথা বললেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। মন্ত্রী জানান, গত দু বছরে এরাজ্যে নষ্ট শ্রমদিবসের সংখ্যা তিন কোটি সাত লক্ষ সাতষট্টি হাজার পাঁচশো পঁচিশ।
দুহাজার বারো সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে তেরো সালের একত্রিশে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে নষ্ট শ্রম দিবসের সংখ্যা কত? বিধানসভায় এই প্রশ্ন তোলেন বাম বিধায়ক তাজমুল হোসেন। লিখিত উত্তরে শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন ওই দুবছরে তিন কোটি সাত লক্ষ সাতষট্টি হাজার পাঁচশো পঁচিশ শ্রমদিবস নষ্ট হয়েছে। এদিকে এরাজ্যে কোনও শ্রমদিবস নষ্ট হয় না বলে প্রায়ই দাবি করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাহলে কেন ভিন্ন সুর শ্রমমন্ত্রীর উত্তরে? শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোট নষ্ট হওয়া শ্রমদিবসের সিংহভাগ লক আউট জনিত কারণে নষ্ট হয়েছে। লক আউটের কারণে নষ্ট হয়েছে তিন কোটি সাত লক্ষ একষট্টি হাজার ছশো তিপান্ন শ্রমদিবস। অর্থাত্ শ্রমদিবস নষ্টের পিছনে দায়ী মালিক পক্ষই। লে অফ জনিত কারণে নষ্ট হয়েছে ছশো সত্তর শ্রমদিবস। ধর্মঘট জনিত কারণে নষ্ট হয়েছে পাঁচ হাজার দুশো দুটি শ্রমদিবস। মন্ত্রীর দেওয়া এই পরিসংখ্যান মুখ্যমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে মিলছে না। লক আউটের জন্য সিংহভাগ শ্রমদিবস নষ্ট হওয়ায় এও পরিষ্কার, রাজ্যে শিল্পের চেহারা অত্যন্ত করুণ।