রাজ্য জুড়ে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচী শুরু
মূল্যবৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সোমবার রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করছে বামেরা। মানুষের সুবিধার কথা ভেবে বর্ধমানে বিকেলে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলা বাম নেতৃত্ব। বিকেল ৩ টে নাগাদ বর্ধমান স্টেশন থেকে বিজয়তোরণ পর্যন্ত বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মূল্যবৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সোমবার রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করছে বামেরা। মানুষের সুবিধার কথা ভেবে বর্ধমানে বিকেলে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলা বাম নেতৃত্ব। বিকেল ৩ টে নাগাদ বর্ধমান স্টেশন থেকে বিজয়তোরণ পর্যন্ত বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। জেলা বামফ্রন্টের সর্বস্তরের নেতানেত্রীদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলান প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ মানুষ। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে জেলাশাসকের দফতরের দিকে যাওয়ার সময়ে পুলিস বাম নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে। পরে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আইন অমান্য কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বামেরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক খুন এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। বামকর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরাও। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। বেড়ে চলেছে ধর্ষণ এবং মহিলা নিগ্রহের ঘটনা। এই অভিযোগেই আইন অমান্যের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।
১৭ জুলাই কলকাতা ও শিলিগুড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচি পালিত হবে। ৩০ জুলাই ও ৩১ জুলাই খাদ্য নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করবে বামেরা। অগাস্ট মাস জুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার দাবিতে প্রচার আন্দোলন হবে। ১ সেপ্টেম্বর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবসে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে হবে মহামিছিল। আন্দোলনের দিশানির্দেশিকা তৈরির পাশাপাশি সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও সক্রিয় করার ওপর জোর দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।