হোটেলের ঘরে একান্তে আগামিদিনের লড়াইয়ের হোমওয়ার্ক সারছেন মদন মিত্র
জেল থেকে মুক্তি মিলেছে। তবে স্বস্তি পুরোপুরি ফেরেনি। আইনি বিভ্রাটে হোটেলে বন্দি মদন মিত্র। ভালো নেই মন। শরীরও খারাপ। আজ দফায় দফায় তাঁকে দেখে গেলেন চিকিত্সকরা। দেখা করলেন ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গেও।
ওয়েব ডেস্ক: জেল থেকে মুক্তি মিলেছে। তবে স্বস্তি পুরোপুরি ফেরেনি। আইনি বিভ্রাটে হোটেলে বন্দি মদন মিত্র। ভালো নেই মন। শরীরও খারাপ। আজ দফায় দফায় তাঁকে দেখে গেলেন চিকিত্সকরা। দেখা করলেন ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গেও।
মুক্তি পেয়েছেন, তবুও স্বাধীন নন। আদালতের রায়ে বাড়ির ঠিকানায় গোলমাল, আইনি জটে পড়ে আপাতত ভবানীপুরের হোটেলই ঠিকানা মদন মিত্রের। কিন্তু, তারপরও স্বস্তি কই? শিয়রে CBI। ক্রমশ বাড়ছে চাপ। প্রভাব পড়ছে শরীরে। শনিবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মদন মিত্রের। হোটেলেই ডেকে আনা হয় চিকিত্সককে। রাত দুটোর পর মদন মিত্রকে দেখেন তিনি। ব্যবস্থা করা হয় অক্সিজেনেরও। সকালেও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন চিকিত্সক। কিন্তু, সকালে বিশেষ কিছু মুখে তোলেননি তিনি।
প্রভাবশালী তকমা যাতে কোনওভাবেই ঘাড়ে চেপে না বসে তার জন্য চেষ্টার কসুর নেই। দুদিনে হোটেলে দেখা যায়নি শাসকদলের কোনও নেতামন্ত্রীকে। খুব ঘনিষ্ঠ ছাড়া মদন মিত্র দেখা করছেন না কারোর সঙ্গেই। দাদার নির্দেশ তাই, হোটেলের সামনে ভিড় নেই অনুগামীদেরও। তবুও, তারইমধ্যে দাদার সঙ্গে কথা বলে গেছেন কামারহাটির কয়েকজন কর্মী সমর্থক। আসেন বিতর্কিত কাউন্সিলর অজিতাও। বিকেলের দিকে দেখা করে যান অভিনেতা সোহমও।
চোখে পড়ার মতো কমেছে পুলিসি পাহারার বহরও। গতকাল হোটেলের বাইরে প্রচুর পুলিস মোতায়েন ছিল। কিন্তু, এক জন দলীয় কর্মীর জন্য এত পাহারা কেন? CBI সেই প্রশ্ন তুলতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হতেই বদলেছে ছবিটা। রবিবার মদনের হোটেলের বাইরে দেখা গেছে হাতেগোনা কয়েকজন পুলিস কর্মীকেই।
মদন মিত্রের পাখির চোখ এখন একটাই। যেকোনও উপায়ে CBI-র জামিন খারিজের আর্জি রোখা। মামলার খুঁটিনাঁটি নিয়ে আলোচনা সারতে রবিবারই দিল্লি উড়ে গেছেন তাঁর আইনজীবী। এলগিন রোডের হোটেলের 502 নং রুমে একান্তে আগামিদিনের লড়াইয়ের হোমওয়ার্কটা সেরে নিচ্ছেন মদন মিত্র।