ভবানীপুরে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মমতা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিলি স্থানীয়দের
নাড্ডার কর্মূসিচর পরই আজ দুয়ারে সরকার নিয়ে যদুবাবুর বাজারে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে উত্তাল রাজনীতির অন্দর। পাখির চোখ একুশের বিধানসভা ভোট। গতকালই মমতার গড়ে প্রচার কর্মসূচি সেরে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ভবানীপুরে নাড্ডার কর্মসূচির পরই আজ দুয়ারে সরকার নিয়ে যদুবাবুর বাজারে প্রচারে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের তালুকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড বিলি করলেন নেত্রী। এরপর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কৃষি আইন বিরোধিতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কর্মসূচিতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এসে কী বার্তা দিলেন
* আমি চাই বাংলার ১০ কোটি মানুষেই স্বাস্থ্যসাথীর আয়তায় আসুক।
* রেশন কার্ড যাঁদের নেই, তাঁরা ডিজিটাল কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী জুন পর্যন্ত চাল-গম সব ফ্রি।
* আমাদের সরকার থাকবে। আগামী দিনে আমরা চেষ্টা করব স্বাস্থ্য, খাদ্য় দুটোই ফ্রি করে দেওয়ার জন্য।
* বিধবাভাতা বাড়ানো হয়েছে।
* ফেব্রুমাসের মধ্যে সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার চেষ্টা করব।
* সাইকেল দিয়েছি আরও দেব।
* ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হয়েছে, ভোটার লিস্টে যাঁদের নাম নেই তুলে রাখুন, কেন্দ্র কখন NPR, NRC নিয়ে চলে আসবে ঠিক নেই। যদিও রাজ্যে করতে দেব না।
* দেখছেন তো রাজ্যের বিরুদ্ধে বদনাম করছে কেমন। কোভিড বিধি মেনে সুস্থ থাকুন।
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে', মানবাধিকার দিবসে টুইট মমতার
হাতে সময় নেই খুব বেশি। রাজ্যে দফায় দফায় কর্মসূচিতে এসেছে বিজেপির নেতৃত্ব। অন্যদিকে নিজের গড়ে একটুও জমি ছাড়তে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। গতকাল মতুয়ার মন জয় করতে বনগাঁয় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেই মঞ্চ থেকেও গেরুয়া শিবিরের বিরোধীতায় তোপ দাগেন। একাধিক অভিযোগেও সরব হন নেত্রী। আজ ফের ভবানীপুরে দুয়ার সরকার কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেও নাম না করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আলু-পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমূখী বাজারদর নিয়েও এদিন মন্তব্য করেছেন তিনি।