মুকুলই রেলমন্ত্রী, চাপ বাড়িয়ে ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর

দীনেশ ত্রিবেদীকে সরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর সরাসরি চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়কে পরবর্তী রেলমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে তাঁর দাবি এই রদবদলের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই। অন্যদিকে, রেলমন্ত্রীও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন,  লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করছেন না। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রেলমন্ত্রকে রদবদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, সোনিয়া গান্ধি ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে। 

Updated By: Mar 17, 2012, 02:02 PM IST

দীনেশ ত্রিবেদীকে সরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর সরাসরি চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়কে পরবর্তী রেলমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে তাঁর দাবি এই রদবদলের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই। অন্যদিকে, রেলমন্ত্রীও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন,  লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করছেন না। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রেলমন্ত্রকে রদবদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, সোনিয়া গান্ধি ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।  
রেলমন্ত্রী পদে মুকুল রায়ই তাঁর পছন্দ। দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আগেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চাপ আরও বাড়াতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ খোলার আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীকে ইস্তফা দেওয়ানো জন্য ফোন করানো হয়। তবে, দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত রেলমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রেলের সমস্ত স্তরে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি বুধবার রেল বাজেট পেশ করতে গিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী যে ভাবে রেলমন্ত্রকে তাঁর পূর্বসূরীকে কটাক্ষ করেছেন তাতে তাঁর উপর প্রবল ক্রুদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বলেছেন বারাকপুরের সাংসদ ? কোনও রাখঢাক না রেখেই লোকসভায় রেল বাজেট বক্তৃতার সময় তাঁর মন্তব্য, "গত ২ বছর রেল আইসিইউ-তে রয়েছে। রেলের স্বাস্থ্য উদ্ধারে যা করা উচিত, আমি তাই করেছি।" সেই সঙ্গেই বাজেট পেশের পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে কার্যত তৃণমূল নেত্রীর কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, "আমি মহাকরণ থেকে রেলমন্ত্রক চালাব, না রেল ভবন থেকে?"
শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেলমন্ত্রী জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা প্রধানমন্ত্রীর তরফে পদত্যাগের কোনও নির্দেশ পাননি। তাছাড়া এদিন লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন, দলের তরফে তাঁকে এখনও পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। তাই তিনি রেলমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
বুধবারই প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর পরিবর্তে মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রী করার সুপারিশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থতিতে শুক্রবার রাতে কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠকে দীনেশর 'ভবিষ্যত্‍' নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ব্যক্তিগতভাবে বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত দীনেশ ত্রিবেদীকে স্বপদে বহাল রাখার পক্ষপাতী হলেও জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় আগামী সোমবারই তাঁকে সরানো হতে পারে বলে ২৪ আকবর রোড সূত্রে খবর।

.