তীব্রতা কমলেও এখনও জ্বলছে বাগরি মার্কেট, আজ বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নবান্নে বৈঠক
আশেপাশের বাড়ি থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রায় ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও জ্বলছে বাগরি মার্কেট। তবে, আগুনের তীব্রতা অনেকটাই কমেছে। পুরো দমে কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। বাড়ানো হয়েছে জলের সোর্সও। কিছু কিছু পকেটে এখনও আগুন রয়ে গেছে বলে জানান দমকলকর্মীরা। ছোট ছোট ল্যাডারে করে সেইসব জায়গায় পৌছনোর চেষ্টা করছেন দমকলের কর্মীরা।
বাগরি মার্কেটের বিধ্বংসী আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমসিম দশা দমকলের। জলের অভাবে ভুগছেন দমকল কর্মীরা। যখনই জল দেওয়া কম হচ্ছে আগুন আরও রুদ্র রূপ ধারণ করছে। দীর্ঘ লড়াইয়ে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন দমকলকর্মীরাও। এদিকে জলের যোগানও পর্যাপ্ত নেই। ভূগর্ভস্থ জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকী পাশের লাল দিঘি থেকেও জল নিয়ে আসা হচ্ছে। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। আশেপাশের বাড়ি থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।
রাত নটা নাগাদও আগুন আয়ত্বে না আসায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন, অগ্নি নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল মার্কেট কর্তৃপক্ষেরই। এদিকে বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নবান্নে সোমবার বৈঠক করবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দমকল, পুলিস, পুরসভা ও মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়েই দুপুর দুটোর সময় হবে এই বৈঠক। বিদেশ সফরে যাওয়ার আগেই বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী গড়ে দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিপর্যয় ও আপদকালীন পরিস্থিততে কাজ করার দায়িত্ব রয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠীর ওপর।