শহরে ফের শ্লীলতাহানির শিকার বিদেশিনী
ফের খাস কলকাতার বুকে শ্লীলতাহানীর শিকার হলেন এক বিদেশিনী, নিগ্রহের শিকার তাঁর পুরুষবন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার লেক থানা এলাকায়, রবিবার ভোররাতে। এই ঘটনায় কমল নস্কর নামে একজন ধরা পড়েছে। কিন্তু পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করায় ইতিমধ্যেই ধৃত কমল নস্কর জামিন পেয়ে গিয়েছে। গত ৩১ মে বাইশ বছরের সেই আইরিশ তরুণীর ধর্ষণের ঘটনা এখনও দগদগে ঘা হয়ে আছে কলকাতার বুকে।
ফের খাস কলকাতার বুকে শ্লীলতাহানীর শিকার হলেন এক বিদেশিনী, নিগ্রহের শিকার তাঁর পুরুষবন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার লেক থানা এলাকায়, রবিবার ভোররাতে। এই ঘটনায় কমল নস্কর নামে একজন ধরা পড়েছে। কিন্তু পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করায় ইতিমধ্যেই ধৃত কমল নস্কর জামিন পেয়ে গিয়েছে। গত ৩১ মে বাইশ বছরের সেই আইরিশ তরুণীর ধর্ষণের ঘটনা এখনও দগদগে ঘা হয়ে আছে কলকাতার বুকে।
তারও আগে, ২৫ মার্চ চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক মহিলা। লজ্জার সেই তালিকায় এ বার সংযোজন এক ফরাসি তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনা। তা-ও কলকাতার অভিজাত লেক থানা চত্বরে।
রবিবার ভোর রাতে ওই ফরাসি তরুণীকে তাঁর জোধপুর পার্কের বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন তাঁর পুরুষ বন্ধু। থাকেন পণ্ডিতিয়া রোডে। লেক থানা এলাকায় পৌঁছতেই এলাকার কয়েক জন যুবক তাঁদের দেখে অশ্লীল মন্তব্য এবং অঙ্গভঙ্গি করে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় ওই তরুণী এবং তাঁর পুরুষ বন্ধুটির উপরে চলে মারধর এবং অকথ্য অশ্লীল মন্তব্যবৃষ্টি।
লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিস মারধরের জন্য ৩২৩ এবং গালাগালির জন্য ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের করে। এই দু`টি ধারাই জামিনযোগ্য হওয়ায় ধৃত কমল নস্কর সহজেই জামিন পেয়ে যায়। অন্য অভিযুক্তরা অবশ্য এখনও নাগালের বাইরেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ওই তরুণীর যৌন হেনস্থার জন্য পুলিস জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় কেন মামলা দায়ের করল না।
কামদুনি, খরজুনার মতো ঘটনায় বারবার পুলিসের গাফিলতিই শুধু স্পষ্ট হয়নি, দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে অসংবেদনশীলতাও। আইরিশ তরুণীর যৌন নিগ্রহের ঘটনার ৪৩ দিন পর, ১২ জুলাই ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়াই চার্জশিট জমা দেয় পুলিস। ওই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। এ বার সবান্ধব ফরাসি তরুণীর শ্লীলতাহানি আর মারধরের ঘটনায় গোড়াতেই অভিযুক্তদের রেহাই পাইয়ে দিল পুলিস।