নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দিল্লি গেলেন মুকুল রায়
বিকেলের বিমানে দিল্লি উড়ে গেলেন মুকুল রায়। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এবং রাজ্যের দায়ের করা সারদা মামলার কাজেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে আজ সকালে নবান্নে যান মুকুল রায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর সঙ্গে।
ওয়েব ডেস্ক: বিকেলের বিমানে দিল্লি উড়ে গেলেন মুকুল রায়। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এবং রাজ্যের দায়ের করা সারদা মামলার কাজেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে আজ সকালে নবান্নে যান মুকুল রায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর সঙ্গে।
হাবেভাবে কিংবা ঘুরিয়ে, নিজের সঙ্গে দলের তৈরি হওয়া দূরত্ব এই কদিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুকুল। কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে এখনই কোনও বিচ্ছেদবার্তা বেরিয়ে আসুক, চাইছেন না একেবারেই। দলের সঙ্গে দূরত্ব ঢাকার চেষ্টায়, আজ তাই নিজেকে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে বলতে হল মুকুল রায়কে।
শনিবারই মুকুল-তৃণমূলে মতভেদ প্রকাশ্যে এনে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুকুল। বাড়িয়ে দেন দলের রক্তচাপ। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে দূরত্ব যে আর বাড়াতে চান না, বোঝা গেল এদিনের মন্তব্যে।
মুকুল রায় আজ বললেন, "আমি দলের সাধারণ সম্পাদক, দলের একনিষ্ঠ কর্মী।"
মুখের কথাটা যতটা তীক্ষ্ণ, যতটা সোজাসাপটা, মুকুলের গতিবিধি কিন্তু আদৌ তেমন নয়। কলকাতায় থাকলে রবিবারের নিয়মিত রুটিন কালীঘাটের এক ক্লাব হয়ে মমতার বাড়ি। এদিন ওমুখো হলেনই না। সোজা চলে গেলেন নিজাম প্যালেসে। শনিবার এই নিজাম প্যালেসেই মুকুলের সঙ্গে বৈঠক করে যান সৌগত, শুভেন্দুরা। রবিবার আসেন চন্দ্রিমা। সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়েই আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমার সঙ্গে দীর্ঘ কথাবার্তা হয় মুকুলের। সোমবার ফের দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মুকুল।