শাসকদলের কাছে আক্রান্ত ২৪ ঘণ্টা, মন্ত্রী বাধা দিলেন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায়
ছবি তুলতে বাধা। ক্যামেরায় ধাক্কা। মুকুন্দপুরে মন্ত্রী মণীশ গুপ্তর শাসানির মুখে পড়লেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি। কলোনি কমিটির ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। আর সেখানেই সংবাদ প্রতিবেদককে সম্মুখীন হতে হল এক কদর্য বাস্তবের। এ রাজ্যে এখন প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের কাজে বাধা দিতেও দু-বার ভাবেন না মন্ত্রীরা, এই ছবিই ধরা পড়ল ক্যামেরায়।
ওয়েব ডেস্ক: ছবি তুলতে বাধা। ক্যামেরায় ধাক্কা। মুকুন্দপুরে মন্ত্রী মণীশ গুপ্তর শাসানির মুখে পড়লেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি। কলোনি কমিটির ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। আর সেখানেই সংবাদ প্রতিবেদককে সম্মুখীন হতে হল এক কদর্য বাস্তবের। এ রাজ্যে এখন প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের কাজে বাধা দিতেও দু-বার ভাবেন না মন্ত্রীরা, এই ছবিই ধরা পড়ল ক্যামেরায়।
মুকুন্দপুর কলোনি কমিটির নির্বাচন। বামেদের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মঞ্চের সঙ্গে তৃণমূলের মা-মাটি-মানুষ মঞ্চের লড়াই। সকাল থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ।
ভোট হচ্ছে স্কুলে। পাশেই তৃণমূলের অফিস। সেখানে ডেরা বেঁধে ভোট করাচ্ছেন মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। সঙ্গে, কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা ব্যানার্জি। বাম শিবির থেকে এই অভিযোগ পেয়ে আমরা গেলাম তৃণমূলের অফিসে। বেরিয়ে এলেন বিদ্যুত মন্ত্রী। মণীশ গুপ্তর পিছনেই এলাকার তৃণমূল নেতা পিনাকী চক্রবর্তী। যার বিরুদ্ধে পুরভোটে সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এনার গলায় আবার শীতল শাসানি। মন্ত্রী যখন বলছেন ছবি তোলা যাবে না, তখন তাঁর দলবল তো এলাকা ছাড়ার হুমকি দেবেই।
মাননীয় মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত ক্যামেরার ওপর হাত রেখে বলেন, ছবি তুলছেন কেন? ইয়ার্কি হচ্ছে? কিন্তু কেন তাঁর মনে হল যে আমরা সাংবাদিকতার বদলে ইয়ার্কি মারছিলাম? ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব মণীশ গুপ্ত কি জানেন না, ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারার একের 'এ' উপধারা অনুযায়ী, মত প্রকাশের অধিকারের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা? বিশেষ আইন বলে ঘোষিত সংরক্ষিত এলাকা নয়। প্রকাশ্য রাস্তায় ছবি তুলতে বাধা দিয়ে কোন অধিকারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন মন্ত্রী?
যুযুধান দু-পক্ষের কথাই দর্শকের কাছে তুলে ধরা সংবাদমাধ্যমের কাজ। বাম শিবির থেকে অভিযোগ পেয়ে শাসক শিবিরের বক্তব্য জানতে গিয়েছিলাম আমরা। তাতে মন্ত্রীর গোঁসা হল কেন? পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে হেডলাইনে ছিল ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে কলোনি কমিটির ভোটেও একই অভিযোগ। সে সব ধামাচাপা দিতেই কি সংবাদমাধ্যমকে শাসিয়ে এলাকা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা মাননীয় বিদ্যুত মন্ত্রীর?
পুলিস থেকে মন্ত্রী। বারবার সংবাদমাধ্যমকে রক্তচক্ষু শাসকের। নিন্দায় সরব বিরোধীরা। অনৈতিক কাজ ঢাকতেই সংবাদ মাধ্যমের ওপর আক্রমণ। অভিযোগ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।