নারদা মামলায় মুকুল-শুভেন্দুদের গ্রেফতার নয় কেন, প্রশ্ন কুণালের

নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তুলে আনা হলেও ওই মামলায় জড়িত মুকল রায়, শুভেন্দু আধিকারীরা কোথায়? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

Updated By: May 17, 2021, 12:14 PM IST
নারদা মামলায় মুকুল-শুভেন্দুদের গ্রেফতার নয় কেন, প্রশ্ন কুণালের

নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তুলে আনা হলেও ওই মামলায় জড়িত মুকল রায়, শুভেন্দু আধিকারীরা কোথায়? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

উল্লেখ্য, আজ সকালে নাটকীয় ভাবে ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্য়াকে আটক করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসেছে সিবিআই। যদিও ফিরহাদের দাবি তাঁকে নারদা মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রেফতার নয়, আটক করা হয়েছে তাঁদের। তবে সম্ভবত আজাই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন-নারদ মামলায় গ্রেফতার Firhad , Madan, Sovan, Subrata, চার্জশিট পেশ

এনিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এনিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) বলেন, এটা গ্রেফতার কী গ্রেফতার নয় তা জানার চেষ্টা করছি।  যতক্ষণ না তা জানতে পারছি ততক্ষণ কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি জানা গেল দল তা নিয়ে ব্যবস্থা নেবে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করছে বিজেপি। চার্জশিটই যদি দেওয়া হয় তাহলে, বাড়ি থেকে তুলে এনে চার্জশিট দেওয়ার জায়গা নেই। তার পরিবর্তে একটা কলঙ্কজনক জিনিস হচ্ছে। মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) কোথায়? এই নারদা মামলায় মুকুল রায় বলছে মির্জাকে আমার হয়ে টাকা দাও। মির্জা বলেছে, আমি মুকুল রায়ের হয়ে টাকা তুলি। মুকুল রায় কোথায়! এফআইআরে শুভেন্দু, মুকুলের নাম রয়েছে। তারা কোথায়। শঙ্কুদেব পন্ডা বলছে, আমাকে শেয়ার দিলে আমি দালালির কাজ করব। তাকে কেন অ্যারেস্ট করা হয়নি। ফিরহাদ পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা সিস্টেমটাকে গোছানোর কাজ চলছে। সেই সিস্টেমটাকেও ভেঙে দিতে নেমেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন-আর কিছুক্ষণের মধ্যে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় Tauktae

অন্যদিকে, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কোনও ব্যাপার নেই। নারদাকাণ্ডে ওরা টাকা নিয়েছিলেন। এনিয়ে আমরা মামলা করেছিলাম। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বলেছিল, এই ধরনের টাকা নেওয়া কোনও অপরাধ নয়। সবচেয়ে বড় অপরাধ তখনই শুরু হয়েছিল। হাইকোর্টে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যপাল ধাক্কা খেয়েছে। তবে বেশ কয়েকজন এমপি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করে তদন্ত সম্পূর্ণ করা উচিত। কিন্তু তাদের গ্রেফতাদের অনুমতি দেননি লোকসভার স্পিকার।

.